লতা বেগম (৩৭) নামের এক নারীকে দুই কন্যা সন্তানসহ পাওয়া গেছে। তিনি কথা বলতে পারেন না। গত সোমবার সন্ধ্যায় গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের চরপিঁপলা বাজারে তাকে পাওয়া যায়। স্থানীয় এক ব্যক্তি ওই নারীকে আশ্রয় দিয়েছেন।

এবিষয়ে রবিবার সকালে গুরুদাসপুর থানায় একটি লিখিত ডায়েরীও করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আনা হয়েছিল ওই নারীকে। সেখানে অঙ্গাভাঙ্গা লেখার মাধ্যমে লতা বেগম নিজের পরিবারের কাছে ফেরার আকুতি জানান। গুরুদাসপুর উপজেলা প্রশাসন নারীর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছে।

চরপিঁপলা গ্রামের আখতারুজ্জামান বলেন, গত সোমবার সন্ধ্যায় চরপিঁপলা বাজারে ওই নারীকে দুই সন্তানসহ পাওয়া যায়। দুটিই কন্যা সন্তান। এক জনের বয়স আনুমানিক চার বছর অপরজনের আড়াই বছর হবে। কথা বলতে না পারায় পরিচয় জানাতে পারেননি ওই নারী। ভাঙ্গা ভাঙ্গা লেখায় নিজের নাম লতা বেগম, পিতার নাম আব্দুল হান্নান এবং মায়ের নাম বুলু বেগমের কথা জানিয়েছেন। এছাড়া অন্য কিছু লিখতে পারেন না।

তিনি বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় পাওয়ার পর সন্তানসহ নারীকে নিজের বাড়িতেই আশ্রয় দিয়েছেন তিনি। এখানো সেখানেই আছেন। গত মঙ্গলবার থেকে আশপারে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাই বাধ্য হয়ে তিনি ওই নারীকে নিয়ে থানা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এসেছিলেন।

গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা আক্তার বলেন, আপাতত ওই নারীকে স্থানীয় আখতারুজ্জামানের বাড়িতেই রাখতে বলা হয়েছে। থানার মাধ্যমে লতা বেগমের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তাছাড়া কেউ ওই নারীর ছবি দেখে চিনতে পারলে তার কার্যালয়ে, ভূমি কর্মকাতার সাথে অথবা গুরুদাসপুর থানায় যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করেন তিনি।

বার্তা বাজার/জে আই