মাদারীপুরের রাজৈরে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী মাহমুদা আক্তারের(২৫) গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। বুধবার (২৪ মে) বিকেলে নিহতের বাবা আনোয়ার কাজী বাদি হয়ে রাজৈর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলার এজাহারে তার মেয়ের বর্তমান জামাই নৌ বাহিনীর সদস্য আফিদুল ইসলামকে প্রধান আসামিসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে আসামি করা হয়। এতে আরো হিংস্র হয়ে উঠেছে আসামি পক্ষ। তারা পাল্টা মামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে মামলার বাদির অভিযোগ। এ নিয়ে চরম আতংকে রয়েছেন নিহতের পরিবার।

মামলার বাদি নিহতের বাবা আনোয়ার কাজী জানান, আমার মেয়েকে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করায় এখন আমাকেও হত্যার হুমকি দিচ্ছে আসামিরা। এছাড়া পাল্টা মামলা দিয়ে আমাদের ফাঁসানোর পায়তারায় আছে তারা। আমার মেয়েকে নির্মমভাবে যারা হত্যা করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই।

রাজৈর থানার তদন্ত ওসি সঞ্জয় কুমার ঘোষ জানান, আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। তবে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকির বিষয় আমরা কোন অভিযোগ পাই নাই।

উল্লেখ্য, মাহমুদার পাঁচ বছর আগে একটি বিয়ে হয়। তবে দুই মাস যেতে না যেতেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। এর কিছুদিন পর টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর এলাকার আফিদুলের সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এবং দুই বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। পরে বিয়ের এক বছর পর তার আগের বিয়ের কথা জানতে পারলে দুইজনের মাঝে মনমালিন্য সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে শুক্রবার রাত ৩ টার সময় ঘুমন্ত অবস্থায় মাহমুদার শরীরে অগ্নিবৃদ্ধি তেল ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় তার ডাক-চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা এসে পানি ঢেলে আগুন নিভায়। পরে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২০ মে) দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

বার্তাবাজার/এম আই