জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ইন্সটিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ-জেইউ) এর নিজস্ব ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৪ মে) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন প্রধান সড়কে মানববন্ধনে প্রগতিশীল বিভিন্ন সংগঠন ও জোটের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেয়।

এতে বক্তারা মহাপরিকল্পনা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের যত্রতত্র ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ করে এসব ভবন নির্মাণ স্থগিতের দাবি জানান। পাশাপাশি দ্রুততম সময়ের মধ্যে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের দাবি জানান।

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সম্পাদক তাপসী দে প্রাপ্তি বলেন, ‘কোনো অংশীজনের সাথে আলাপ না করেই যত্রতত্র ভবন নিমার্ণ ভালো কাজ নয়। এর আগেও শিক্ষার্থীরা বাধা দিয়েছিল কিন্তু এবার তারা কোন সাহসে আবার একই কাজ করলো তা আমাদের বুঝে আসে না। যখনই কোনো দাবি তোলা তখন বলা হয় উন্নয়ন বিরোধী। আমারও চাই ভবন হোক কিন্তু সেটি মাস্টার প্লান মোতাবেক সেটি হোক।’

মাস্টারপ্লান ছাড়াই যত্রতত্র চলছে উন্নয়নের নামে গাছ কাটার মহোৎসব চলছে বলে অভিযোগ করেন ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফ মাহমুদ।

তিনি বলেন, জাহাঙ্গীরনগরে ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর একনেকের মাধ্যমে বাজেট আসে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা। পাঁচ বছর ধরে মাস্টারপ্লান প্রণয়ন করতে পারেনি অথচ একহাজারের উপর গাছ কাটা হয়ে গেছে। আবার তারা নতুন করে গাছ কাটতে উদ্যোগী হয়েছে। ভবন নির্মাণ করতে গাছ কাটতেই হবে। কিন্তু সেটা পরিকল্পনার মাধ্যমে কাটা হলে আগামীর ক্যাম্পাস সুন্দর হবে। তাই মাস্টারপ্লান প্রণয়ন ছাড়া আর কোনো গাছ কাটার সুযোগ নেই।

জাবি ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায়, ‘জাবি প্রশাসনের মদ খেয়ে মাতাল অবস্থা হয়েছে। তাদের রিহ্যাবে পাঠানো এখন সময়ের দাবি। তারা একের পর এক হঠকারি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। সবুজ গাছপালা যেখানে বেশি সেই জায়গা গুলোই তারা দেখে চিহ্নিত করছে।’

সকলের মতামতের ভিত্তিতে একটি মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে শুরু না করলে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদেরকে পাশে নিয়ে এই অপরিকল্পনার বিরুদ্ধে দূর্বার আন্দোলনে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।

বার্তা বাজার/জে আই