এমন আহামরি ব্যবসা-বাণিজ্য বা সম্পদ নেই তার। চলাফেরাও সাদাসিধে। জনসেবায় দিন-রাত ছুটে চলা তার। সেবার মাধ্যমে মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করাটাই তার ব্রত আর আদর্শ। এভাবে আমৃত্যু নিজেকে নিয়োজিত করতে চান তিনি। কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ৪ নং সুবিল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার মুকুল ভূঁইয়ার সেবায় সন্তুষ্ঠ ইউনিয়নবাসী। অসহায়, সুবিধাবঞ্চতি দিনমজুর মানুষের কল্যাণে কাজ করায় তিনি এখন ওই ইউনিয়নের সকলের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।

চলমান সমাজ ব্যবস্থায় অনিয়ম-দুর্নীতি এবং কোন ধরনের উৎকোচ গ্রহণ ছাড়া ও স্বজনপ্রীতিমুক্ত থেকে ইউনিয়নের সালিশ- দরবার থেকে শুরু করে লোভ লালসা উপেক্ষা করে এবং কোন ধরনের হয়রানী ছাড়াই সবগুলো সেবা সঠিকভাবে পালন করে যাচ্ছেন। এ কারনে ইউনিয়নবাসী মুকুল চেয়ারম্যানকে নিয়ে গর্ববোধ করছেন। তারা মনে করেন, জনসেবায় মহৎ সব উদাহরন সৃষ্টির জন্যে সাফল্যের ঝুড়িতে উপজেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যানের গৌরব তারই প্রাপ্য।

চেয়ারম্যান সনদ, জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু সনদ, ওয়ারিশিয়ান সনদ, প্রত্যায়নপত্র, ব্যবসায়ীক ট্রেডলাইসেন্স কোন ধরনের হয়রানী বা সরকারি ফি এর অতিরিক্ত কোন ফি আদায় ছাড়াই সঠিকভাবে সরবরাহ করায় প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষ ইউনিয়ন পরিষদমুখী হয়ে উঠছেন। ইউনিয়ন পরিষদে আগত সেবা প্রত্যাশিরা সেবা নিতে পারেন, সে দিকে খেয়াল রেখেই তিনি কাজ করে যাছেন।

গোলাম সারওয়ার মুকুল ভূইঁয়া সুবিল ইউনিয়ন পরিষদের অভিভাবকের দায়িত্ব নেওয়ার পর ইউনিয়ন থেকে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, বাল্য বিয়ে, ঘুষখোর সালিসদার মুক্ত বিচার সম্পাদন, শিক্ষারহার বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করছেন তিনি। স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন নিয়েই তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। তার নির্বাচনী ইশতেহার শতভাগ বাস্তবায়নের এবং সুবিল ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন গড়ার স্বপ্ন নিয়েই গোলাম সারোয়ার মুকুল কাজ করে যাচ্ছেন তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে যোগদানের পর থেকেই সর্বস্তরের মানুষ পরিষদমুখী হয়ে উঠেছেন। ইউনিয়নের বিভিন্ন কাঁচা রাস্তা পাকা করন, নতুন নতুন রাস্তা নির্মাণ, আর্সেনিক মুক্ত টিউবওয়েল, স্যানেটারীসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কাজ করে জনসাধারনের বিশ্বস্ত হয়ে উঠেছেন।

তিনি জাতীয় প্রতিটি দিবস যথাযতভাবে পালন করে আসছেন। সরকারের উন্নয়নের চিত্র সব সময় জনসমুখে তুলে ধরে সুবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য সব সময় কাজ করে চলছেন।

গোলাম সারওয়ার মুকুল ভূঁইয়া ছাত্র জীবন থেকেই জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে লালন করে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছেন। ছাত্র রাজনীতিতেই তিনি ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের কাছে একজন জনপ্রীয় ব্যাক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি দলের মান রাখতে নিরলসভাবে সব সময় কাজ করছেন। একাদশ জাতিয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনের উন্নয়নের রুপকার, রাজী মোহাম্মদ ফখরুল এমপির নৌকাকে ও একই উপজেলা পরিষদের নৌকার মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদকে বিজয়ী করার জন্য ব্যাপক পরিশ্রম করেছেন, অর্থ ব্যায় করেছেন।

তার সততা, সাহসীকতা এবং সেবামূলক কর্মকান্ডে দল-মত নির্বিশেষে ইউনিয়নবাসীর জোর আবেদনে গত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে বাধ্য হয়েছেন। আওয়ামী লীগের একজন সাচ্ছা, পোড়খাওয়া ত্যাগী নেতা হয়েও আর্থিক দূর্বলতার কারনে তাকে নৌকা প্রতীক দেয়া হয়নি। এলাকার দরদ্রি ও শ্রমজীবী মানুষ শ্রমে, মেধায়, প্রচারনায় এবং চাঁদা তুলে, প্রাবাসীদের আর্থিক সহযোগীতায় তাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছেন। তার বিজয় সুনিশ্চিত করতে এলাকার শতশত নারী পুরুষ নফল রোজা ও নফল নামাজ পড়ে দোয়া করেছেন।

প্রচারবিমুখ গোলাম সারোয়ার মুকুল বলেন, ‘আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। তাই সব সময় জনগণকে হয়রানীমুক্ত ও আর্থিকভাবে যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সে লক্ষ্যেই সেবা দেতেই আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকারের যাতে বদনাম না হয়, সেজন্য সরকারের বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাত, পঙ্গু ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিএফের সরকারি নিয়মে সঠিকভাবে বিতরণ করে আসছি।’

তিনি বলেন, ‘যতদিন ইউনিয়ন পরিষদের অভিভাবকের দায়িত্বে থাকবো ততদিন সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করবো ইনশাল্লাহ। কোনদিন সস্তা জনপ্রিয়তা নেয়ার চেষ্টা করবো না।’

বার্তাবাজার/এম আই