আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ আসনে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. এনামুর রহমান এর নৌকা প্রতীকের বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মোহাম্মদ তৌহিদ জং মুরাদ ঈগল প্রতীক এবং অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে সারাদেশের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়গুলোতে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তারা এই প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন।

গতকাল রোববার (১৭ ডিসেম্বর) ছিল সংসদ নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে এসে অনেকে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে চূড়ান্ত হয়ে গেছে সব দলের এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের তালিকা। ঢাকা-১৯ আসনে নৌকার মনোনীত প্রার্থীসহ মোট ১০ জন প্রার্থী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তারা হলেন- ডা. মোঃ এনামুর রহমান (নৌকা প্রতীক), তালুকদার মো: তৌহিদ জং মুরাদ (স্বতন্ত্র প্রার্থী, প্রতীক: ঈগল ), মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম (স্বতন্ত্র প্রার্থী, প্রতীক: ট্রাক), মোঃ ইসরাফিল হোসেন সাভারী (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, প্রতীক: আম), মোঃ জুলহাস (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, প্রতীক: একতারা), নুরুল আমিন (গণ ফ্রন্ট, প্রতীক: মাছ ), মোঃ সাইফুল ইসলাম মেম্বার (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন প্রতীক: নোঙ্গর), আইরিন পারভীন (বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, প্রতীক: কাঁঠাল), মাহাবুবুল হাসান (তৃণমূল বিএনপি, প্রতীক:সোনালী আঁশ) এবং মিলন কুমার ভঞ্জ (বাংলাদেশ কংগ্রেস, প্রতীক: ডাব)।

এদিকে, নির্বাচনী এলাকা-১৯৩, ঢাকা-২০ আসনে নৌকার মনোনীত প্রার্থী সহ মোট ৭জন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। এই আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ। বাকী প্রার্থীরা হলেন- এম এ মালেক (স্বতন্ত্র, প্রতীক: ট্রাক), খান মোহাম্মদ ইসরাফিল (জাতীয় পার্টি, প্রতীক: লাঙ্গল), মোহাদ্দেছ হোসেন (স্বতন্ত্র, প্রতীক: কাঁচি), মো: আমিনুর রহমান (মুক্তিজোট, প্রতীক: ছড়ি), মো: মিনহাজ উদ্দিন (বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি, প্রতীক: একতারা) এবং রেবেকা সুলতানা (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, প্রতীক: আম)।

উল্লেখ্য, প্রতীক পাওয়ার পরপরই নির্ধারিত সময়ের জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের প্রচারণায় নামবেন প্রার্থীরা। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) থেকে আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ১৮ দিন ভোটের প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা।

প্রসঙ্গত আরও উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি হাবিবুল আউয়াল। গতকাল রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভোটের সার্বিক প্রস্তুতির কথা জানান তিনি। রাষ্ট্রপতি ভোটের মাঠে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে অনুমোদন দেন।

বার্তাবাজার/এম আই