গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আনীত প্রস্তাবটি ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পাশ হয়েছে। নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আনীত প্রস্তাবটি পাশ হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় দেড় শতাধিক দেশ।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রস্তাবটি উত্থাপন করে মিসর। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, তুরস্কসহ মোট ১৫৩টি দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। ১৯৩ সদস্যবিশিষ্ট জাতিসংঘের ১০টি সদস্য এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। দেশগুলো হলো—যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, অস্ট্রিয়া, গুয়াতেমালা, লাইবেরিয়া, নাউরু, পাপুয়া নিউ গিনি, প্যারাগুয়ে, মাইক্রোনেশিয়া ও চেক রিপাবলিক। ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে যুক্তরাজ্য, ইউক্রেন ও আর্জেন্টিনাসহ ২৩টি দেশ।
প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতি দাবির পাশাপাশি গাজা উপত্যকায় বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতি ও ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। তবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মতো সাধারণ পরিষদে পাশ হওয়া প্রস্তাব প্রতিপালনে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই সদস্য দেশগুলোর।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির পর এবার ফিলিস্তিন অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারী সহিংস ইসরায়েলিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ)।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ইইউর পররাষ্ট্রবিষয়ক নীতির প্রধান কর্মকর্তা জোসেফ বোরেল বলেছেন, পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারী চরমপন্থীদের সহিংসতায় ইইউ উদ্বিগ্ন এবং জেরুজালেমে আরও ১ হাজার ৭০০ আবাসন ইউনিট অনুমোদন করায় ইসরায়েলি সরকারের সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
পশ্চিম তীরে আরও আবাসন তৈরির অনুমোদনকে ব্রাসেলস আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ইইউর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর জোসেফ বোরেল গণমাধ্যমের কাছে বলেন, কথা থেকে কাজে যাওয়ার সময় এসেছে। পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে সহিংসতার বিষয়ে আমরা যেসব ব্যবস্থা নিতে পারি তা শুরু করার সময় এসেছে।
এদিকে, নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানাননি বোরেল। তবে ইইউ কর্মকর্তারা বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ইইউভুক্ত দেশগুলোয় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হবে। তবে এ ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নকে চ্যালেঞ্জিং বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র এবং হাঙ্গেরির মতো ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশগুলোর কয়েকজন কূটনীতিক।
বার্তা বাজার/জে আই