জাতীয় পার্টিসহ শরিক দলগুলোর নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য ব্যক্তিদের ছাড় দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে সমসাময়িক বিষয়াদি নিয়ে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগ শরিকদের কতগুলো আসন ছেড়ে দিতে পারে, এমন প্রশ্ন তিনি বলেন, সেটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। যারা নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য, তাদের ছাড় দেয়া হবে।
জাতীয় পার্টি বিরোধী দলে থেকে নির্বাচন করবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দলটি স্বাধীনভাবে নির্বাচন করছে। কোনো কোনো আসনে তারা আমাদের সঙ্গে সমঝোতা করতে চায়। সবসময় এটা হয়ে আসছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে। সমঝোতার ক্ষেত্রে কে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য, তা বিবেচ্য হবেই। যে কোনো সমঝোতায়, যে কোনো দলের ক্ষেত্রে।’
সচেতন নাগরিক ও নাগরিক সমাজকে ‘সুবিধাবাদী’আখ্যায়িত করে মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ আওয়াজ তুললেই বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ হবে। আওয়াজটা শুরুতে সচেতন নাগরিক ও নাগরিক সমাজের কাছ থেকে আশার কথা। দুঃখজনক হলেও সত্য, নাগরিক সমাজের একটা বিবৃতিও দেখিনি। তারা সুবিধাবাদী। তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। সাংবাদিকদের অনুরোধ করব, তাদের চিনে রাখতে।’
আওয়ামী লীগ দল ভাগানোর রাজনীতি করছে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এমন মন্তব্যের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি থেকে সবাই পালিয়ে যাচ্ছেন। কেন্দ্র থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত বিএনপির নেতারা দল থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। পরবর্তী সময়ে রিজভীরা দেখবেন, তারা কয়েকজন ছাড়া আর কেউ নেই, ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী।
বিএনপি নেতাদের কাছে আমার প্রশ্ন: আপনারা এই দলটি কেন করেন? যেই দল আপনাদের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্বাচনও করতে দেয় না। বিএনপি করলে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার নির্বাচন করতে পারবেন না। আপনারা দলটি করেন কেন? আজ কম্বলের তলা থেকে সবাই পালিয়ে যাচ্ছে।
জাতীয় পার্টিসহ অন্য শরিক দলগুলোর সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোনো সমঝোতা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ১৫ বছর ধরে বিএনপি-জামায়াতের অপরাজনীতির বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টি আমাদের রাজনৈতিক সহযাত্রী হিসেবে কাজ করছে। দলটি ২০০৮ সালে আমাদের মহাজোটে ছিল। তাদের সঙ্গে কৌশলগত জোট হতে পারে, সে জন্যই তরা আমাদের সঙ্গে আলোচনা করছে ও করতে চায়।
এবার অনেকের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পরও এখনও প্রতি আসনে সাতজন করে প্রার্থী আছে। এখন একটি দল নির্বাচনে না এলে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না, এমন কথা কোথাও লেখা নেই। ১৯৭০ সালের নির্বাচনেরও অনেক বড় নেতার দল অংশগ্রহণ করেনি। সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে।
বার্তা বাজার/জে আই