সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসেইন বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক চললেও এর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন। আর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা ব্রতীর নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ বলেছেন, অতীতে বাংলাদেশের মানুষ কিছু মুহুর্তের জন্য গণতন্ত্র পেলেও বর্তমান নির্বাচনকে কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক বলা যায় না।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের আগেই অস্ত্র প্রদর্শন, শোডাউন, জনসংযোগে ব্যাপক লোকসমাগম করে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে দেখা যায় বিভিন্ন প্রার্থীকে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকাতে ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন। সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসেইন বলেছে, অতীতে এই বিধি কার্যকর হলেও বর্তমান নির্বাচন কমিশন উদাসীন। আর ব্রতীর নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ বলেছেন, যে পরিস্থিতির মধ্যে নির্বাচন হচ্ছে এবং যেভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে এটাকে কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক নির্বাচন বলা যায় না।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুসারে সারাদেশে ৩৩৮জন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বদলীর সিদ্ধান্ত নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বদলীর বিষয়টি রয়েছে প্রক্রিয়াধীন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকালাওভাবে এই বদলীর নির্দেশনা অযৌক্তিক।
নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতাকে রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবে দেখছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসেন। আর ব্রতির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদের দাবি, এসব সহিংসতা ঠেকাতে ব্যর্থ নির্বাচন কমিশনের উচিত পদত্যাগ করা।
বার্তা বাজার/জে আই