ঝিনাইদহে আন্তঃ বিভাগীয় ডাকাত সর্দার আলমগীর শেখ ওরফে ডাকু আলমগীর (৩৩) গ্রেফতার হয়েছে। গত ২১/০১/২০২৩ তারিখ সদর থানার অর্ন্তগত ঘোড়ামারা গ্রামে শহিদুল মোল্ল্যা এবং হেলাল এর বসত বাড়িতে ডাকাতি ও পরবর্তীতে গত ০১/০২/২০২৩ তারিখ ঝিনাইদহ পৌর পবহাটি গ্রামের পেশকার মনিরুল ইসলাম এর বসত বাড়িতি দূর্ধষ ডাকাতি সংগঠিত হয়।

উক্ত ঘটনায় মামলার পরিপেক্ষিতে পুলিশ সুপারের বিশেষ তত্তাবধায়নে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের চৌকস সদস্যদের দ্বারা গঠিত টিম ছায়া তদন্তের মাধ্যমে উক্ত ডাকাতির মূল রহস্য উদঘাটন করে সাইবার টিম আন্তঃ বিভাগীয় ডাকাত চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করে এবং তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান লুন্ঠিত স্বর্নালংকার ও ডাকাতের কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।

গ্রেফতারকৃত ডাকাত সদস্যের দেয়া তথ্যমতে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের চৌকস টিম পলাতক আন্তঃ বিভাগীয় ডাকাত সর্দার আলমগীর শেখ ওরফে ডাকু আলমগীর কে ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করে। ডাকাত সর্দার আলমগীর ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানার সূর্য্যদিয়া গ্রামের আলম শেখ ওরফে আলম মেম্বারের ছেলে।

সোমবার সকাল ১১ টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সাংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান জানান, আটককৃত ডাকাত সর্দার আলমগীর দীর্ঘ দিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ডাকাতের ঘটনার সাথে জড়িত এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তার সক্রিয় সদস্য রয়েছে। পুলিশ সুপার আরো জানান ডাকাত সর্দার আলমগীর শেখের নামে বোয়ালমারী থানায় ৬ টি, মধুখালী থানায় ১ টি, আলফাডাঙ্গা থানায় ১ টি, রাজবাড়ী সদর থানায় ১ টি, গোয়ালন্দঘাট থানায় ২ টি, নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানায় ২ টি, শরীয়তপুর জেলার পালং মডেলে থানায় ১ টি, নড়িয়া থানায় ১ টি, কুষ্টিয়া সদর মডেল থানায় ১ টি, নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানায় ১ টি, গোপালঞ্জের কাশিয়ানী থানায় ১ টি এবং ঝিানইদহ সদর থানায় ২ টি মামলা সহ মোট ২০ টি মামলার ঘটনায় জড়িত বলে জানান।