সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলায় এবছর ৯ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এসব জমিতে উৎপাদিত ধান থেকে ৩০ হাজার ৩৪৪ মে.টন চাউল পাওয়া যাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
আশাশুনি উপজেলা সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছেন, চলতি বছর উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ৯ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্দ্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিরলস ভাবে কাজ শুরু করেছে কৃষি বিভাগ। এমনকি কৃষকদের সাথে মাঠে ও বাড়িতে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে উদ্বুদ্ধ করছেন তারা। উপজেলার বিভিন্ন বিলে ৯ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের মধ্যে হাইব্রিড ৪০ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ৪০ হেক্টর ও উপশী ৯ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে।
চাষী জালাল উদ্দীন বলেন, আল্লাহর মর্জিতে ধান ফসল ঘরে তুলেছি। কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতা পেয়ে আমরা ভালভাবে চাষাবাদ করতে পেরেছি। পোকা মাকড় দমন, রোগ বালাই রোধ ও সার দেওয়ার ব্যাপারে তাদের পরামর্শ আমাদেরকে চিন্তামুক্ত রাখতো। আগামীতে এই উপজেলা থেকে আরো বেশি ধান উৎপাদন হবে বলেও আশার কথা জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এস এম এনামুল ইসলাম জানান, আশাশুনি উপজেলায় লবণপানির মৎস্য চাষের জন্য আবাদী জমির পরিমান কম হলেও কৃষি বিভাগের তৎপরতায় ধান আবাদের পনিমান বাড়তে শুরু কেরছে। তাছাড়া একই জমিতে একাধিক ফসল উৎপাদনে কৃষকরা এগিয়ে আসায় স্ববলম্বি হতে সুডোগ পাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এবছর আমাদের ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ হাজার ৩০০ হেক্টর জমা। সেখানে অর্জিত হয়েছে ৯ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমি। ইতিমধ্যে ৮৫% জমির ধান কাটা হয়েগেছে। গড় ফসল উৎপাদনেরর হার অনুযায়ী আশিশুনিতে প্রতি হেক্টরে (উফশী) ৩.২ মে. টন চাউল উৎপাদন হবে। হাইব্রিড পার হেক্টরে ৩.৮ মে.টন ও স্থানীয় জাতের ২.৮ মে.টন চাউল উৎপাদিত হবে। ফলে আশাশুনি উপজেলায় সর্বমোট সম্ভাব্য উৎপাদন হবে (চাউলে) উপশী ৩০ হাজার ৮০ মে.টন, হাইব্রিড ১৫২ মে.টন ও স্থানীয় জাতের ১১২ মে.টন।
বুধহাটার কৃষক নুরুর ইসলাম জানান, সরকার তথা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এলাকার কৃষকরা ধান চাষাবাদে খুবই আগ্রহ সহকারে কাজ করতে পেরেছে। বীজ তলা থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত সঠিক ভাবে দান পরিচর্চা করে আল্লাহর রহমতে আশানুরুপ ফলন পেয়েছি। আমরা সোনার ফসল ঘরে তুলতে পেরে খুবই খুশি।
বার্তা বাজার/জে আই