লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ইউপি চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে তারাই মামাদের বিরুদ্ধে। জমিটি একই বাড়ীর দিনমজুর মাকসুদুর রহমানের পরিবারের বলে তিনি দাবি করা হয়েছে। এ নিয়ে শনিবার দুই পক্ষের আইনজীবী সালিশ বৈঠক হলেও চেয়ারম্যানের মামা খায়রুল আলম গংরা তা মানেননি। চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়ে বুধবার সকালে (২৯ নভেম্বর) উপজেলার দক্ষিন চরবংশী আখন বাজারের পাশে আখন বাড়ীতে জমিটি দখলে নিয়ে পাকা ভবন নির্মাণ করছেন খায়রুল আলম ও আবুল কালাম পক্ষ।
এঘটনায় দ্রুত মিমাংশা না হলে বা পুলিশ হস্তক্ষেপ না করলে উভয়পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে বলে জানান স্থানীয় ইউপি মেম্বার ও গ্রামবাসী।
এঘটনায় বুধবার রাতে (২৯ নভেম্বর) মোখলেসুর রহমান রাসেল বাদি হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরায়েজিসহ চারজনকে আসামী করে থানায় এবং বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে চরবংশী হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মান্নান চেয়ারম্যানের মামাদের কাজ বন্ধ রেখে মিমাংশার নির্দেশ দিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্থ মাকসুদুর রহমান জানান, স্থানীয় খায়রুল আলম ও আবুল কালামের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন রোববার সকালে জমি দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ শুরু করেছেন। তাঁরা জমিতে গিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁর বোনসহ পরিবারের সদস্যদের অবরুদ্ধ করে মারতে আসেন। ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু ফরাজির নির্দেশে জমি দখল করে পাকা ভবন নির্মান করছেন তারই মামা খায়রুল আলম ও আবুল কালাম। ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হলে তিনি দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ মাকসুদুর রহমানের।
মাকসুদুর রহমান আরো জানান, কয়েক বছর আগে ওই জমি পারিবারিক সূত্রে তার পরিবার ভোগদখল করছেন। রোববার সকালে চেয়ারম্যানের নির্দেশে তার আপন মামা খায়রুল আলম, আবুল কালাম ও আলী আখনের নেতৃত্বে লাঠিয়ালরা তা দখল করে পাকা ভবন করছেন। ইউপির বিচারে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ তোলায় তিনি লোকজন দিয়ে আমাকে মারধর করে ও মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আমরা আতংকিত। লিখিতভাবে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছি।
এ বিষয়ে খায়রুল আলম ও আবুল কালাম বলেন, তাঁদের পুরানো বসতঘর ভেঙ্গে নতুন করে পাকা ভবন করছেন। মাকসুদুর রহমান রাসেলের পরিবারের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। তবে চেয়ারম্যান নিজ দায়িত্বে মিমাংসার জন্য কয়েকবার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু তা আর হয়নি। পাকা ভবন করতে চেয়ারম্যান অনুমতি দেননি। তিনি জানেননা।
এ বিষয়ে দক্ষিন চরবংশী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরায়েজি বলেন, বিরোধকৃত জমি নিয়ে কয়েকবার বসা হয়েছিলো। কিছু সমস্যার কারনে তা মিমাংশা হয়নি। পাকা ভবন নির্মাণ করতে মামাদেরকে অনুমতি দেইনি ও আমার কোনো স্বার্থও নেই। দুই পক্ষই আমার নানার বাড়ীর আত্নীয় হোন।
রায়পুর থানার ওসি ইয়াসিন ফারুখ মজুমদার বলেন, জমি নিয়ে বিরোধ ও হুমকি-ধামকি নিয়ে দক্ষিন চরবংশী ইউপি চেয়ারম্যানসহ চার জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তা এসআইকে তদন্ত করে রিপোট দিতে বলা হয়।
বার্তা বাজার/জে আই