লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বিএনপির অফিসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

সোমবার (২২ মে) বিকেলে লালমনিরহাট- বুড়িমারী মহাসড়কের হাতীবান্ধা তেলপাম্প সংলগ্ন হাতীবান্ধা বিএনপির অফিসে এই হামলার ঘটনা ঘটে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

এদিকে বিএনপি অফিসে ভাংচুরের প্রতিবাদে দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন উপজেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি মেডিকেল মোড় বৈশাখী হোটেলের সামনে গিয়ে শেষ করে সেখানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন।

স্থানীয় বিএনপি’র নেতারা দাবি করে বলেন, হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি বিক্ষোভ মিছিল মেডিকেল মোড় থেকে ফেরার পথে উপজেলা বিএনপির অফিসের তালা ভেঙে হামলা চালায়। এ সময় তাঁরা অফিসের টেবিল চেয়ার ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন। তবে দলীয় অফিসে কেউ না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রেজাউল করিম অভিযোগ করে বলেন, আজকে অফিস তালা দিয়ে বন্ধ ছিলো। আমি বাসায় ছিলাম। হঠাৎ করে ভাংচুরের শব্দ শুনতে পাই। অফিসের সামনে এসে দেখি আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০/৬০ নেতাকর্মী অফিসের তালা ভেঙে চেয়ার ভাংচুর করে। পুলিশের সামনেই তাঁরা ভাংচুর চালান। আমি এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চু ভাংচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এটা বিএনপির যড়যন্ত্র। তাঁদের অভ্যান্তরীণ কোন্দলের কারণে তাঁরা নিজেরাই অফিস ভাংচুর করে আওয়ামী লীগের দোষ দিচ্ছে। আমরা আজকে শান্তিপূর্ণ ভাবে আ.লীগের কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ করেছি।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহা আলম বলেন, বিএনপির অফিস ভাংচুর হয়েছে কিনা তা এখন পর্যন্ত জানিনা। এবং বিএনপির কেউ আমাকে অভিযোগ করেননি।

বার্তাবাজার/এম আই