লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল। তিনি ২০২১ সালের রাজধানীর মিরপুরে শিশুপুত্রের সামনে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামি। আজ বৃহস্পতিবার তাঁর প্রতিনিধি জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সুরাইয়া জাহানের কাছে ফরম জমা দেন।

এ আসনে এবার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খান। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান।

সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল তরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব ছিলেন। তবে ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তাঁকে মহাসচিব পদ থেকে অব্যাহতি দিলে তিনি দল ছেড়ে ইসলামি গণতান্ত্রিক পার্টি নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। বর্তমানে আউয়াল এই দলের চেয়ারম্যান। এ ছাড়া ‘প্রগতিশীল ইসলামি জোট’ নামের একটি জোটও গঠন করেন করেন আউয়াল। এই জোটেরও চেয়ারম্যান তিনি। তাঁর দল নিবন্ধিত না হওয়ায় তিনি তৃণমূল বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়েছেন।

দুই বছর আগে ঢাকার মিরপুরে দিনদুপুরে কুপিয়ে যুবক সাহিনুদ্দিনকে (৩৩) খুনের ঘটনার প্রধান আসামি এম এ আউয়াল। আদালতে দেওয়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের অভিযোগপত্রেও বলা হয়েছে, লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালের ইন্ধনে খুনটি করা হয়েছিল।

পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ২০২১ সালের ১৬ মে মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের সিরামিকস রোডে ছয় বছর বয়সী শিশুসন্তানের সামনে সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পিবিআই, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও র‍্যাব সূত্র জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট একটি অডিও ক্লিপও তাদের হাতে আসে। সেখানে শোনা যায়, হত্যাকারীদের একজন আউয়ালকে ফোন করে বলছেন, ‘স্যার, ফিনিশ।’

তবে এম এ আউয়াল বলেন, ‘ষড়যন্ত্র করে আমাকে হত্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। ওই চক্রটি একইভাবে ষড়যন্ত্র করে আমাকে তরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব পদ থেকেও সরিয়ে দেয়। মামলাটি বিচারাধীন। আদালতে ন্যায়বিচার পাব।’

বার্তাবাজার/এম আই