প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘হত্যার হুমকি’র প্রতিবাদে সোমবার দুপুর ২টার সময় সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা রেজিষ্ট্রি মাঠে সমবেত হয়ে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি বন্দর সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এসে প্রতিবাদ সমাবেশে রূপ নেয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

কেন্দ্রীয়ভাবে নির্দেশিত এ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, বিএনপি আগুন জ্বালিয়ে মানুষ পুড়িয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। দেশে লাশের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। চারবারের সফল রাষ্ট্রপ্রধান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে বারবার গ্রেনেড হামলা করেছে। তারা দেশকে ৭৫ ও ২০০৪ এ ফিরিয়ে নিতে চায়। শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়ে বিএনপি নিজেদের জঙ্গি সংগঠন হিসেবে পরিচয় ধরে রেখেছে। রাজশাহী বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাদ আমাদের বঙ্গকন্যাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। এই আবু সাঈদ চাদের পেছনে লন্ডন থেকে তারেক জিয়া কলকাঠি নাড়ছে। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বিএনপি চায় আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে ক্ষমতার চেয়ারে আসীন হতে। তারা জানেনা আওয়ামী লীগ এখন আর কোনো সংগঠন নয়। আওয়ামী লীগ বাঙ্গালীর অস্থিত্য। বাঙ্গালীর আবেগ অনুভূতির নাম আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ মানেই বাংলাদেশের উন্নয়নের সংগঠন। আওয়ামী লীগ মানেই স্বাধীনতা সংগ্রাম। যারা শেখ হাসিনাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে চায় তারা সাধারণ মানুষের পায়ের তলাতেও জায়গা পাবেনা।

বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট-৩ আসনের সাংসদ হাবিবুর রহমান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মাহফুজুর রহমান ও রঞ্জিন সরকার, উপ দপ্তর সম্পাদক মজির উদ্দিন, জেলা যুবলীগ সভাপতি শামিম আহমদ (ভিপি শামিম), সাধারণ সম্পাদক সীমান্তিক শামিম, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি ও সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গিরদার, জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন দেবনাথ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুম আহমদ, দপ্তর সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, উপ সমাজসেবা সম্পাদক মোবারক আলী, মহানগর তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুল হাসনাত বুলবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জিকরুল ইসলাম, কোম্পানীগঞ্জ যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রহমান, সিলেট জেলা কৃষকলীগ নেতা রুবেল আহমদ, জেলা যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা জাওয়াদ খান, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ,কোম্পানীগঞ্জ ছাত্র পরিষদ সভাপতি হেলাল আহমদ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেলে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর হাই স্কুল মাঠে এক জনসমাবেশে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, ‘আর ২৭ দফা, ১০ দফার মধ্যে আমরা নাই। এক দফা; শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করার জন্য যা যা করার দরকার, আমরা করব।’

ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ ধারাবাহিকতায় আজ দুপুরে ইতোমধ্যে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ সহ সহযোগী ও ভ্রান্তপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বার্তাবাজার/এম আই