আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলেই একতরফা নয় তা সঠিক নয়। অনেকেই নির্বাচনে অংশ নেবে। একটি দলকে ঘিরে নির্বাচনে সিদ্ধান্ত হতে পারে না।
বুধবার (২২ নভেম্বর) ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে কমনওয়েলথ প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট মিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের মতামত প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত কারও নেতিবাচক কোনো মতামত দেখিনি। তবে বিদেশিদের মতামতে আমাদের মাথাব্যথাও নেই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পক্ষে। তাহলে নিষেধাজ্ঞা কেন? শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে যারা বাধা দেবে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা হওয়া উচিত।
সেতুমন্ত্রী বলেন, তপশিল পেছানো বা নির্বাচনের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত। সময়সীমার মধ্যে তারা তাদের যে কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারেন। নির্বাচনের বিষয়ে ৩০ নভেম্বর পর সবকিছু স্বচ্ছ হয়ে যাবে।
এর আগে সকালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন পেছানো প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কীভাবে করবে সেটি পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ব্যাপার। নির্বাচন সম্পন্ন করার একটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। এই সময়সীমার ভেতরে থেকে ভোট সম্পন্ন করতে হবে। এমতাবস্থায় নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে ভোট কিছুদিন পেছানো দরকার সেটি তারা করতে পারে। এখানে আওয়ামী লীগ বা সরকারের কিছু বলার নেই।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তৃণমূল বিএনপির বৈঠক প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি ওই বৈঠকে ছিলাম না। আমি অন্য একটা কাজে ছিলাম। কী আলাপ হয়েছে আমি জানি না।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, তৃণমূল বিএনপি নতুন জোট। তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতেই পারে। এখনকার রাজনৈতিক তৎপরতার রেজাল্ট দেখতে পারবেন ৩০ নভেম্বরের পর।
মনোনয়ন প্রত্যাহার পর্যন্ত কী হচ্ছে সেদিকে দৃষ্টি রাখার কথা জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, কার সঙ্গে কার জোট হচ্ছে সেই সমীকরণগুলো বুঝতে মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
বার্তাবাজার/এম আই