ঢাকা-১৯ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব।
রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে রাজীবের পক্ষে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন ভাকুর্তা ইউপি চেয়ারম্যান ও সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মো: লিয়াকত হোসেন এবং ঢাকা জেলা উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সায়েম মোল্লা। এসময় সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রোববার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এব্যাপারে মঞ্জুরুল আলম রাজীব জানান, আমি বিশ্বাস করি যার সাথে তৃণমূলের নেতাকর্মী এবং গণমানুষের যোগাযোগ আছে, সাধারণ মানুষের ইচ্ছানুসারে যিনি শেখ হাসিনার প্রতিনিধিত্ব করবেন- এমন ব্যক্তিকেই দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশের অন্যান্য আসনের মতো সাভারেও মনোনয়ন দেবেন। আমি শতভাগ বিশ্বাস করি, যাদের সাথে দলীয় কর্মীর কোনো সম্পর্ক নাই, সাধারণ মানুষের কোনো সম্পর্ক নাই, এধরণের কাউকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা ঢাকা-১৯ আসনে মনোনয়ন দেবেন না।
তবে ঢাকা-১৯ আসনে যদি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা অন্য কাউকে নৌকার মনোনয়ন প্রদান করেন, তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে নিজের সর্বোচ্চটুকু করবেন বলেও জানান রাজীব।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের দু:সময়ে সাভার ও আশুলিয়ায় বিএনপি-জামাতের জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছেন মঞ্জুরুল আলম রাজীব। তাকে বিএনপিতে ভেড়াতে অমানুষিক নির্যাতন চালানো হলেও সকল নির্যাতন সহ্য করে রাজীব বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কিংবা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের প্ল্যাটফর্ম ছাড়েন নাই। পরবর্তীতে অগোছালো সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে বর্তমান অবস্থায় নিয়ে আসেন। পাশাপাশি, উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবেও সাভার উপজেলাকে দেশের ভিতর অন্যতম উপজেলায় পরিণত করতে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য গতকাল শনিবার (১৮ নভেম্বর) গুলিস্তানে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সকাল ১০টায় দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বেলা ১১টার কিছু পরই নেতাকর্মীদের জন্য মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়।
এব্যাপারে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জানান, শনিবার (১৮ নভেম্বর) প্রথম দিনে ১০৭৪টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সরাসরি ১০৬০ জন আর অনলাইনে ১৪ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
তিনি আরও জানান, প্রথম দিনে সশরীরে ঢাকা বিভাগে ২১৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০১টি, সিলেট বিভাগ ৫৫টি, ময়মনসিংহ বিভাগ ১০৫টি, বরিশাল বিভাগে ৭৫টি, খুলনা বিভাগে ১২৫টি, রংপুর বিভাগে ১০৯টি ও রাজশাহী বিভাগে ১৭৬টি দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ। ফরম বিক্রি থেকে আয় হয়েছে ৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা।