ঘূর্ণীঝড় মিধিলির প্রভাবে নোয়াখালী হাতিয়ায় ভেঙ্গে পড়েছে কাঁচা ঘরবাড়ী। সাগর খূবিই উত্তাল রয়েছে। এতে করে শুক্রবার সকাল থেকে হাতিয়ার সাথে সারা দেশের নৌ- যোগাগে বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।

শুক্রবার সকালে লিভিত ভাবে এই ঘোষনা দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার লাকী। বিভিন্ন ঘাটের ইজারাধার ও ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতিদেরকে এই আদেশ পৌছে দেওয়া হয়। সুরাইয়া আক্তার লাকী জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল ধরনের নৌ-চলাচল বন্ধ থাকবে।

তিনি আরো জানান ইতিমধ্যে দূরের্যাগ মোকাবেলায় ১১টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও চৌকিদারকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। তিনি আরো জানান তীব্র বাতাসে নলচিরা ও সূখচর ইউনিয়নের বেড়ীবাঁধের পাশে বসবাস করা কিছু কাঁচা ঘরবাড়ী বিধ্বস্থ হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। তবে এখনও সঠিক পরিসংখ্যান এখনো পাওয়া যায়নি।

এদিকে দুপুরে উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ১১টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদেরকে দূর্যোগ মোকাবেলায় স্ব স্ব ইউনিয়নে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিস, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স , সিপিপি ও পুলিশের প্রতিনিধিরা।

এছাড়া ৬ নং সতর্ক সংকেত দেওয়ার পর থেকে হাতিয়াতে মাইকিং করেন সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকরা। বেড়ীবাঁধে ও গ্রামের বিভিন্ন হাঁটবাজারে তারা মাইকিং করেন।

হাতিয়া সিপিপি কর্মকর্তা বদিউজ্জামান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ১৭৭টি ইউনিটের প্রায় ৩হাজার ২শত সদস্য প্রস্তুত রয়েছে।

এদিকে হাতিয়ায় দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারনে শুক্রবার সকাল থেকে বারি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বিরাজ করছে। এতে করে হাতিয়ার নলচিরা-
জাহাজমারা প্রধান সড়কের অনেক জায়গায় গাছ পড়ে চলাচল ব্যাহত হয়।

বার্তা বাজার/জে আই