প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোনোদিন গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ছাড়া সরকার গঠন করেনি। জনগণ যেন তার ভোটের অধিকার সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করতে পারে, সেজন্য নির্বাচনী আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠন, স্বচ্ছ ব্যালটবাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা থেকে শুরু করে যতগুলো সংস্কার সব আমরা করেছি।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সারাদেশে ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ১৫৭টি প্রকল্পের আওতায় ১০ হাজার ৪১টি অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাতের অন্ধকারে অস্ত্র হাতে তুলে ক্ষমতা দখল করে আবারও জনগণের ভাগ্য নিয়ে যেন কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে, হয়তো দুই-একদিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে। আজকে আমরা ডিজিটাল মাধ্যমে বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করছি। এর পেছনে একটা কারণ আছে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা জনগণের জন্য অনেক কাজ করেছি। খুলনার রূপসা ব্রিজ থেকে শুরু করে কুড়িগ্রামের ধরলা ব্রিজ, দক্ষিণাঞ্চলের গাবখান ব্রিজ- এমন অনেক কাজ আমরা করেছি। স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা অনেক কিছু করেছিলাম, কিন্তু তখন সবগুলোর উদ্বোধন করতে পারিনি। ২০০১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার একমাসের মাথায় গাবখান ব্রিজ উদ্বোধন করার সময় বলেছিলেন, আমরা নাকি কোনো কাজ করিনি। তার মানে এতো বড় একটি নদীতে তিনি এক মাসে বড় একটি ব্রিজ তৈরি করে ফেলেছিলেন….।

সরকারপ্রধান বলেন, এবার আমরা যেটুকু কাজ করেছি সেটুকু উদ্বোধন করব। এরপর যখন নির্বাচন হবে জনগণ যদি নৌকা মার্কায় ভোট দেয় আমরা আবারও ক্ষমতায় আসব। আর ভোট না দিলে আমার কোনো আফসোস থাকবে না। কারণ আমি তো দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় নিয়ে এসেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার আমরাই নিশ্চিত করেছি। কাজেই জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দেবে। অনেকে নির্বাচনে আসতে চায় না। কারণ যারা মাত্র ৩০টি সিট পেয়েছিল, তাদের তো নির্বাচনে আসার আকাঙ্ক্ষাই থাকবে না। বরং নির্বাচন বানচাল করে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আবারও বাংলাদেশের মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলাই তাদের চেষ্টা। দেশের মানুষ যখন শান্তি ও স্বস্তিতে ছিল, দেশের উন্নয়ন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক সেইসময় আবারও অবরোধ আর অগ্নিসন্ত্রাস, বাসে আগুন দিয়ে মানুষের জীবনযাত্রাকে যেমন ব্যহত করা হচ্ছে। স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরা ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পারছে না। যেখানে বিএনপির আমলে সাক্ষরতার হার মাত্র ৪৫ ভাগ ছিল, সেটিকে আমরা ৭৬ দশমিক ৬ ভাগে উন্নীত করেছি।

তিনি বলেন, আমি এটুকুই বলব তাদের (বিএনপি) সুমতি হোক। এই ধ্বংসযজ্ঞ-অগ্নিসন্ত্রাস তারা বন্ধ করুক। সেইসঙ্গে দেশবাসীকেও বলব, এই অগ্নিসন্ত্রাস আপনাদেরও প্রতিরোধ করতে হবে। কারণ সবারই জানমাল আছে।

বার্তা বাজার/জে আই