বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসা নবদম্পত্তিকে তুলে নিয়ে গভীর রাতে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। মাদারীপুরের ডাসার থানার এসআই রতন মন্ডলের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন কমল মন্ডল নামে এক ব্যক্তি। তিনি ভুক্তভোগী কিশোর মন্ডল (২০) এর পিতা।

শনিবার রাত ১০ টার দিকে প্রথম দফায় ও পরে রাত ২টায় দ্বিতীয় দফায় এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।

কমল মন্ডল বলেন, আমার ছেলে কিশোর মন্ডল(২০) ধর্মীয় নিয়ম নীতি মেনে সিদুর পড়িয়ে দোলা বারুরীকে(১৭) বিয়ে করে। আমার মেয়ের বাড়ি বেড়াতে গেলে সেখান থেকে ডাসার থানার এসআই রতন ধরে থানার ভিতরে এনে মারধর করে। গভীর রাতে আমার পুত্রবধূকে টেনে হেজড়ে তার পরিবারের কাছে দিয়ে দেয়। আমার ছেলেকে সকালে আমাদের কাছে ফেরত দেন পুলিশ। আমি এর বিচার চাই।

জানা গেছে, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার খালিয়া গ্রামের কিশোর মন্ডলের সাথে পাশ্ববর্তী গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বানিয়ারচর গ্রামের দোলা বারুরির দীর্ঘদিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো। এ সম্পর্ককে দাম্পত্য জীবনে রুপান্তরিত করতে গত সোমবার হিন্দু ধর্মীয় নিয়মনীতি মেনে কিশোর মন্ডল (২০) ও দোলা বারুরি (১৭) বিয়ে করে। পরে ৯ নভেম্বর মাদারীপুর কোর্টের মাধ্যমে নোটারি সম্পন্ন করা হয়। পরবর্তীতে ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের চলবল গ্রামে কিশোর মন্ডলের বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে নবদম্পত্তি। এরপর রাত ১০টায় ডাসার থানা পুলিশের এসআই রতন মন্ডল নববধূর পরিবারের লোকজন নিয়ে চলবল গ্রাম থেকে তাদের মারধর করে ডাসার থানায় নিয়ে আসে। পরে দ্বিতীয় দফায় রাত ২ টার দিকে আবার মারধর করে।

নির্যাতনের বিষয়ে ডাসার থানার এসআই রতন মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মেয়ের বাবা রাজৈর থানায় অভিযোগ দিয়েছে। তবে অভিযোগের কোন কপি দেখাতে পারেননি তিনি।

এ ব্যাপারে ডাসার থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, এসআই রতন এটা করতে পারে না। নির্যাতনের বিষয়টি আমার জানতে হবে। ঘটনা সত্য হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বার্তাবাজার/এম আই