বগুড়ায় চতুর্থ দফা অবরোধের প্রথম দিন রোববার সকালে পিকেটাররা শাজাহানপুরের ফটকি ব্রিজ এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করেছে। নেতাকর্মীরা সুজাবাদ এলাকায় মিছিল ও সমাবেশ করে। জামায়াতের নেতাকর্মীরা শহরতলির চারমাথা এলাকায় বগুড়া-নওগাঁ সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সকালে চালক শাজাহানপুর উপজেলার ফটকি ব্রিজ এলাকায় মহাসড়কে অটোরিকশা রাখেন। এরপর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিনি সবজি তুলতে যান। এ সময় মোটরসাইকেলে আসা ৫-৬ জন দুর্বৃত্ত অটোরিকশাটি ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়।
এছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালুর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা শহরতলির দ্বিতীয় বাইপাস মহাসড়কের সুজাবাদ এলাকায় অবস্থান নেন। তারা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। কাছেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা থাকলেও তারা অবরোধে বাঁধা দেয়নি। নেতাকর্মীরা শ্লোগান দেন, অবরোধে বাধা দিলে আওয়ামী লীগের কবর হবে। পুলিশ দিয়ে বন্ধ করা যাবে না। মামলা দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। গুলি করে অবরোধ বন্ধ করা যাবে না।
শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, ফটকি ব্রিজ এলাকায় একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই অবরোধকারীরা পালিয়ে যায়। ফলে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে জামায়াত শিবিরের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা রোববার সকালে বগুড়া-নওগাঁ সড়ক ও দ্বিতীয় বাইপাস সড়ক অবরোধ করেন। চারমাথার অদূরে গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করেন। বিক্ষোভ মিছিল শেষে তারা সড়কের ওপর সমাবেশ করে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের সময় ফুরিয়ে এসেছে। প্রতিবেশী দেশের সহায়তায় ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সরকার মরণ খেলায় মেতে উঠেছে। জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করে সরকার আবারও এক তরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। কিন্তু দেশের মানুষ অতীতের মত রাতের বেলা ভোট ডাকাতির কোন সুযোগ শেখ হাসিনাকে দিবে না বলে নেতৃবৃন্দ হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। পুলিশ এলে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যান।
সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা চারমাথা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।
বার্তাবাজার/এম আই