মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর হতে প্রায় তিনশো কিলোমিটার দূরবর্তী ক্লেন্তান (Kelantan) প্রদেশে ০৩ (তিন) জন বাংলাদেশী নির্মাণ শ্রমিক কর্মরত অবস্থায় দূর্ঘটনায় পতিত হয়ে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করার ঘটনায় বাংলাদেশ দূতাবাসের হস্তক্ষেপে ক্ষতিপূরণ পেল নিহতের পরিবার।

শনিবার (১১ নভেম্বর) হাইকমিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এি তথ্য জানানো হয়েছে।

নিহত প্রবাসীরা হলেন হলেন (১) জাহেদুল খান (পাসপোর্ট নম্বর A03709379) জেলা- শরীয়তপুর, (২) মোঃ সাজ্জাদ হোসাইন (পাসপোর্ট নম্বর A05347349) জেলা- শরীয়তপুর (৩) মনিরুল ইসলাম (পাসপোর্ট নম্বর A03880842) জেলা- পাবনা।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, দূর্ঘটনায় বর্ণিত কর্মীদের মৃত্যু সংবাদ প্রাপ্তির সাথে সাথে হাইকমিশনের পক্ষ হতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, তারা Projek: Membina Jalan Dani Kampung Joh Ke Kampung Belimbing, Tanah Merah, Kelantan এর আওতায় কাম্পুং মাকা নামক পাহাড়ী এলাকায় সড়ক নির্মাণের নির্মান শ্রমিক হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় গত ০২ নভেম্বর,২০২৩ তারিখ স্থানীয় সময় আনুমানিক ১২ ঘটিকার দিকে আকস্মিক ভূমি ধ্বসের কারণে মাটি চাপা পড়ে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে ০৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে মান্যবর হাইকমিশনার মহোদয়ের নির্দেশনায় কাউন্সেলর (শ্রম) জনাব সৈয়দ শরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থল ও মৃতদেহ সংরক্ষিত হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।

বিস্তারিত তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, মৃত জাহেদুল খান এবং মৃত মোঃ সাজ্জাদ হোসাইন ট্যুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়ায় আসেন এবং মৃত মনিরুল ইসলাম PHN Industry Sdn. Bhd নামক কোম্পানীতে ২০২৩ সালে কলিং ভিসায় মালয়েশিয়ায় আসলেও এপ্রিল মাসে তিনি উক্ত কোম্পানীর অজ্ঞাতসারে অন্যত্র চলে যান। বর্ণিত প্রকল্পে মৃত ব্যক্তিগণকে নিযুক্তকারী কোম্পানীর মালিকের সাথে হাইকমিশনের পক্ষ হতে ধারাবাহিক যোগাযোগের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তিগণ অনিয়মিত হওয়া সত্বেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়। আদায়কৃত ক্ষতিপূরণের অর্থ গত ০৯ নভেম্বর, ২০২৩ তারিখে কোম্পানীর পক্ষ হতে মৃত ব্যক্তিদের পিতা/মাতা/স্ত্রীর ব্যাংক একাউন্টে স্থানান্তর সম্ভব হয় এবং ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগপূর্বক অর্থ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

এদিকে অত্র হাইকমিশন কর্তৃক লাশ প্রেরণকারী কাসকেট কোম্পানী ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সাথে দ্রুততম সময়ে মৃতদেহ দেশে প্রেরণের জন্য সচেষ্ট রয়েছে। মৃত্যুর কারণ সংক্রান্ত ডাক্তারী সনদ, মৃত্যু সনদ, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রাপ্তসহ অন্যান্য আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আগামী সপ্তাহের মধ্যে মৃতদেহ তার স্বজনদের নিকট পাঠানো সম্ভব হবে বলে বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রত্যাশা করছে।

বার্তা বাজার/জে আই