প্রয়াত নাজমুল হুদার দল তৃণমূল বিএনপি আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে যাবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরী। বলেন, জনগণ সুষ্ঠু ভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে আমরা নির্বাচনে যাবো। তার জন্য প্রস্তুত নিচ্ছি। ৩০০ সংসদ আসনে প্রার্থী দেবো।

তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান ও আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বিএনপির সাবেক নেতা শমসের মুবিন বলেন, ‘আমরা তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আমরা আগুন সন্ত্রাসে বিশ্বাসী নই। আগুন সন্ত্রাস করে কোনো সমাধান আসে না।’

অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েক ডজন লোক তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দেন। তবে তারা তেমন পরিচিত মুখ নন। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ও সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তাও রয়েছেন।

তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দেওয়া এই ব্যক্তিরা কেউ কেউ আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে দাবি করেছেন। আবার কেউ কেউ বিএনপি ও জাপাসহ বিভিন্ন দলের সাবেক নেতা।

যারা যোগ দিলেন তৃণমূল বিএনপিতে

সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সিরাজুল ইসলাম, গাজীপুরের অ্যাডভোকেট মাহবুব হাসান তুষার, টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ সমর্থক শরিফুজ্জামান, যশোরের অভয়নগরের জাপা নেতা কর্নেল (অব.) সাব্বির আহমেদ, মো. শহিদুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন পার্টির মহাসচিব (কুমিল্লা) মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন, নীলফামারীর বিএনপির সমর্থক আবুল কালাম আজাদ সাইফুদ্দিন, বগুড়া সদরের বিএনপি সমর্থক সুমন মন্ডল, আবু রায়হান, নারায়ণগঞ্জের দলিল লেখক সাজিদ খান, ঝালকাঠির লস্কর হারুনা রশিদ, চট্টগ্রামের শাহাদাত চৌধুরী, চট্টগ্রামের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সন্তোষ শর্মা, পটুয়াখালীর মোহাম্মদ জাহিদ উদ্দিন, নোয়াখালীর সাবেক ব্যাংকার সৈয়দ আহমেদ, কক্সবাজারের আওয়ামী লীগ পরিবারের বলে দাবিদার মো. শাহ আলম, জাতীয়তাবাদী গার্মেন্টস ফেডারেশনের ফায়েজ আহমেদ ভূঁইয়া, অপু বদ্ধ, সাবেক জাপা কর্মী ডাক্তার আইভী।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন তৃণমূল বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারপার্সন মেজর (অব.) ডা. শেখ হাবিবুর রহমান, মহাসচিব এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার প্রমুখ।

বার্তাবাজার/এম আই