মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মীর মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়া, অনিয়ম, দুর্নীতি ও অসৌজন্যমূলক আচারনের অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী উপজেলার বৌলগ্রাম মুসলিম পাড়া সাউজুদ্দিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুমাইয়া সামসুন্নাহার। তিনি মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ও রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

প্রেরিত লিখিত অভিযোগে জানা যায়, প্রধান শিক্ষিকা সুমাইয়া সামসুন্নাহার ও তার স্বামী টেকেরহাট শহীদ সরদার বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রভাষক হাসিবুল হাসান গত ২৩ অক্টোবর দুপুরে জমির দাগের সূচি সংশোধনের মিস-কেস শুনানিতে অংশ গ্রহনের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ে যায়। পরে সংশ্লিষ্ট অফিসের এক কর্মচারী তাদের জানায়, সার্ভেয়ার রিপোর্ট করাতে টাকা লাগবে। এ কথা শুনে সার্ভেয়ারের কক্ষে গেলে তাদের কাছে সার্ভেয়ার মোয়াজ্জেম দুই হাজার টাকা দাবী করে। এ নিয়ে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে সার্ভেয়ার ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে অফিস থেকে চলে যেতে বলেন। এসময় ভুক্তভোগীরা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খাদিজা আক্তারের রেফারেন্স দিলে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

শিক্ষিকা সুমাইয়া সামসুন্নাহার জানান, সার্ভেয়ার মোয়াজ্জেম আমাদের কাছে দুই হাজার টাকা চাইলে বলি আপনার বিষয়টি আমরা দেখবো। তাতেও তার মন গলেনি। পরে তার সাথে কথা-কাটাকাটি হলে তিনি আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হন। এক পর্যায়ে এসিল্যান্ডের রেফারেন্স দিলে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হন এবং অফিস থেকে চলে যেতে বলেন। এসময় এক সাংবাদিক ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাকে হেনস্তা করে সার্ভেয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন। আমি এ ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার দাবি করি।

অফিস সংশ্লিষ্ট বিস্বস্ত একটি সুত্র জানায়, দুই হাজার টাকা না দিলে সার্ভেয়ার মোয়াজ্জেম কোন ফাইলে সই করেন না।
এ ব্যাপারে সার্ভেয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। এ মুহুর্তে আমি বক্তব্য দেব না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপমা ফারিসা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খাদিজা আক্তার জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বার্তা বাজার/জে আই