পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিসে ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিএনপিকে দায়ী করে সোমবার দুপুরে রাঙ্গাবালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ২০ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০-৬০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।
সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন আবু বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, সোমবার শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করার লক্ষ্যে রোববার রাতে উপজেলার পুলঘাট বাজারে অবস্থিত সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিসে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রস্তুতিমূলক সভা করছিলেন। সেই সভা চলাকালীন রাত ১০ টা ১০ মিনিটে পরিকল্পিতভাবে আসামিরা অফিসের সামনে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে অফিসে প্রবেশ করে চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে।
ঘটনার পর এ মামলায় বিএনপির সহযোগী সংগঠনের চার নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি বেল্লাল মাতুব্বর, ছোটবাইশদিয়া ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মজিবর আকন, ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি সঞ্জয় সাহা ও চরমোন্তাজ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মতিউর রহমান। তাদের সোমবার বিকেলে গলাচিপা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এদিকে, দলীয় অফিস ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ সভা করেছে আওয়ামী লীগ। সোমবার দুপুরে রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন পরিষদে এ আয়োজন করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান মামুন বলেন, ‘নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিএনপি এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এর নিন্দা জানাই। পাশাপাশি অনতিবিলম্বে ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
অপরদিকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান ফরাজী বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা। আমাদের নেতাকর্মীরা কেউ এলাকায় নেই। অথচ তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের লোকজন এনে তারাই তাদের কথিত অফিস ভাংচুর করেছে। আর জামিন অযোগ্য মামলা করার জন্য আমাদের ওপর দোষ দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ মূলত চায় আমাদের এলাকার বাহিরে রেখে তারা তাদের মত একতরফা নির্বাচন উঠিয়ে নিতে।’
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের আলামত পেয়েছি। ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত দুইটি ককটেল উদ্ধার করেছি। অফিস ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
বার্তা বাজার/জে আই