জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সাদিয়া আক্তার (১৯) নামে এসএসসি পরিক্ষার্থী গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার ভোরে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের মাজালিয়া ভূইয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সন্দেহজনক হিসেবে গৃহবধূর স্বামী রায়হানকে আটক করেছে পুলিশ। সাদিয়া মাজালিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে বলে জানা গেছে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত এপ্রিল মাসের ২৭ তারিখে পৌরসভার কোনাবাড়ী এলাকায় আব্দুল্লার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার রায়হানের সাথে বিয়ে হয় মাজালিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে সাদিয়া আক্তারের। সাদিয়া এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। পরীক্ষা চলমান থাকায় বিয়ের পর থেকে বাবার বাড়িতেই থাকতেন সাদিয়া। শুক্রবার বিকালে স্বামী রায়হান ও তার পরিবারের লোকজন সাদিয়াদের বাড়ীতে বেড়াতে আসেন আত্মীয় স্বজনরা রাতে চলে গেলে স্বামী রায়হান থেকে যায়। রাতে রায়হান ও সাদিয়া ঘুমিয়ে পরে।
শনিবার ভোর রাতে স্বামী রায়হানের চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন গিয়ে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় সাদিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। এসময় মরদেহ বুকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করছেন স্বামী রায়হান। পরে বিষয়টি থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় সন্দেহজনক হিসেবে স্বামী রায়হানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
নিহত সাদিয়ার বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে মেয়ে ও জামাইকে হাসি মুখেই ঘরে রেখে আমরা ঘুমাতে যাই। ভোরে মেয়ের জামাইয়ের চিৎকার শুনে ঘুম ভাঙ্গে। দৌড়ে গিয়ে দেখি বারান্দার পকেট রুমে মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ জামাই রায়হান বুকে ধরে কান্নাকাটি করছে। এসময় জিজ্ঞেস করলে সাদিয়া গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানায়।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, সাদিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জামালপুর জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহজনক হিসেবে নিহত গৃহবধূর স্বামী রায়হানকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।
বার্তাবাজার/এম আই