রংপুরের মিঠাপুকুরে একটি হাফজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় হাফেজ কর্তৃক এক শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে এক মাদ্রসা শিক্ষককে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ। হাফেজের দায়িত্বে থাকা ঐ শিক্ষক রাতের আঁধারে দীর্ঘদিন থেকে মাদ্রাসাটির ভিতরে শিশুটিকে বলাৎকার করে আসছিলেন।

ভিকটিমের এবং তার পরিবারের ভাষ্যমতে,মিঠাপুকুর উপজেলার অভিরামপুর গ্রামের (ছদ্মনাম) আবির হোসেন(১১) নামের শিশুটিকে পার্শ্ববর্তী একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানায় হাফেজিয়া পড়াতে পাঠালে মাদ্রাসায় আবাসিক এবং হাফেজের দায়িত্ব থাকা সোহান মিয়া(২৬) নামে ঐ শিক্ষক শিশুটির উপর ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌনাচারে এবং বলাৎকারে লিপ্ত হন।

রবিবার (১৪-মে) সকাল আনুমানিক ৫ ঘটিকার সময় পূর্বের মত হাফেজ সোহান মিয়া,আবারো শিশুটিকে জোরপূর্বক বলাৎকার করলে শিশুটি অসুস্থতা অনুভব করায় তার বাড়িতে চলে যায়। মঙ্গলবার (১৬-মে) শিশুটিকে মানসিক বিপর্যস্ত দেখে তার পিতা জোরপূর্বক মাদ্রাসায় নিয়ে এসে রেখে যেতে চাইলে শিশুটি তখন কান্নাকাটি করে তার বাবাকে জানায়, হাফেজ সোহান তাকে প্রায়ই রাতে খারাপ কাজ করে। এরপর বিষয়টি শুনার পর ঐ শিশুর পিতা ক্ষিপ্ত হয়ে ঐ হাফেজকে মারডাং করতে ধরলে অন্য ছাত্ররাও জানান যে, শিশুটি তার সহপাঠীদেরকে আগেও অবগত করেছিলেন। এবং ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর কমিটির লোকজন কি করবে তা নিয়ে জরুরি মিটিং আহবান করেছিলো।

বলাৎকারের বিষয়টি ঐ শিশুর মা জানতে পেরে তার মামাসহ ঐ শিক্ষকের বিচারের দাবিতে ছুটে আসেন। পরে মিঠাপুকুর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে অভিযুক্ত সোহান এবং শিশুটির পরিবারকে থানায় নিয়ে গেলে, অভিযুক্ত সোহান তার অপরাধ স্বীকার করে এবং তার এমন কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চায়।

শিশুটির পিতা বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় মামলা করলে পুলিশ বুধবার(১৭-মে) অভিযুক্ত সোহানকে আদালতে প্রেরন করে এবং শিশুটিকে মেডিকেল রিপোর্ট এবং জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠায়।

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফাফিজার রহমান জানান, এ ঘটনায় ছেলেটির বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

বার্তা বাজার/জে আই