নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি করানো হলে নবজাতককে দেওয়া হবে নতুন পোশাক। গর্ভবতী মায়েদের প্রসবকালীন মৃত্যু ঝুঁকি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে এই ব্যবস্থাটি করেছেন অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দিনাজ উদ্দিন।
ইতিমধ্যে প্রায় শতাধিক নবজাতকের পোশাক নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত মিডওয়াইফ (ধাত্রী ও সদ্যোজাত শিশুর স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত) রুপা আকতারের কাছে হস্তান্তর করেন তিনি।
রুপা আকতার জানান, নিঝুমদ্বীপে অধিকাংশ পরিবার গর্ভবতী মায়েদের বিষয়ে অসচেতন। তারা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসতে চাই না। অনেকে বাড়ীতে রেখে গ্রাম্য কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা করান। এতে মায়ের ও নবজাতকের প্রাণহানী ঘটার সম্বভনা থাকে। এই ধারা এখন বদলে যাচ্ছে। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে থেকে সেবা নিয়ে এখন খুশি অনেকে। সেপ্টেম্বর মাসে নিঝুমদ্বীপে ১৭ টি প্রাতিষ্ঠানিক নরমাল ডেলিভারি করানো হয়েছে। বৃষ্টি কারনে প্রধান সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় অনেকে ইচ্চা থাকলেও আসতে পারে না।
তিনি আরো জানান, চেয়ারম্যানের দেওয়া পোশাক সরবারহ করা হচ্ছে প্রতিটি নবজাতককে। নতুন পোশাক পেয়ে অনেকে আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। এখানে নরমাল ডেলিভারির পাশাপাশি বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবারহ করা হচ্ছে।
নিঝুমদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান দিনাজ উদ্দিন বলেন, নিঝুমদ্বীপে শতভাগ প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি নিশ্চিত করতে কাজ করছি আমরা। এখানে মানুষজন গর্ভবতী মায়েদেরকে বাড়ীতে ডেলিভারি করতে অভ্যস্ত। এ তে মায়েদের প্রসবকালীন মৃত্যু ঝুঁকি থাকে। বাড়ীতে কোন মহিলা প্রসবকালীন অবস্থা সংকাটাপন্ন হয়ে পড়লে দুরত্বের কারনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া সম্বব হয় না। এজন্য গ্রামের মানুষজনকে উদ্বুদ্ব করতে নবজতককে পোশাক উপহার দেওয়ার এই ব্যবস্থাটি রাখা হয়েছে। প্রথম ধাপে শতাধিক পোশাক দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরো দেওয়া হবে।
হাতিয়াতে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি সেবা নিশ্চিত করতে ১১টি ইউনিয়নের সব সব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই সেবাটি চালু রয়েছে। এতে প্রতিটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ ও বেসরকারী একটি সংস্থার অধিনে একজন মিডওয়াইফ, একজন আয়া ও একজন পিয়ন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পরিপূর্ণ ভাবে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে ডেলিভারি রুমটি। এছাড়া প্রতিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একটি ৪ শয্যার রুম তৈরি করে রাখা হয়েছে। প্রতিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবারহের ব্যবস্থ্যা রাখা হয়েছে।
বার্তা বাজার/জে আই