মালয়েশিয়ার একটি সুপার মার্কেটে এক তরুনী শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে ২৭ সেপ্টেম্বর এক বাংলাদেশি ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে পুলিশ ঐ বাংলাদেশির নাম ও বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করেনি।
সুঙ্গাই বুলোহ জেলা পুলিশ প্রধান, সুপারিনটেনডেন্ট শাফাআটন আবু বকর বলেছেন, তবে সন্দেহভাজন ব্যক্তির আচরণ শনিবার একটি ভিডিও রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে বলে জানা গেছে।
তার মতে, সুঙ্গাই বুলোহ জেলা পুলিশ সদর দফতরের (আইপিডি) এক তদন্তে দেখেছে যে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় ভিকটিমের পরিবারের একজন সদস্য পুলিশে অভিযোগ করেছিলেন।
“তার পর, একই দিনে ৩১ বছর বয়সী অভিযুক্ত বাংলাদেশী ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এবং শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ আইন ২০১৭ এর ১৪ (ক) ধারার অধীনে তদন্ত করেছে।
তিনি শনিবার(৭ অক্টোবর) দেশটির জাতীয় পত্রিকা সিনার হারিয়ানকে এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন। তিনি বলেন যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ২৭ সেপ্টেম্বর সেলাঙ্গরের ক্লাং কোর্টে অভিযুক্ত কে সোপর্দ করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে সেই সুপারশপে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) দ্বারা রেকর্ড করা ভিডিওটি দেখায় যে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে ভিকটিম কে অনুসরণ করতে দেখা গেছে যিনি খাবারের তাক থেকে আইটেম বেছে নিচ্ছিলেন।
তারপর সন্দেহভাজন ছুটে আসে এবং শেল্ফ থেকে খাবার নেওয়ার ভান করে মহিলা ছাত্রীকে ধাক্কা দেয়।
ঘটনার শিকার ঐ ছাত্রী যিনি সন্দেহভাজন ব্যক্তির আচরণে হতবাক হয়েছিলেন, তার তিনি দৌড়াতে থাকলেন এবং সাথে থাকা একজন মহিলা তার মা এগিয়ে আসেন।
ঘটনা আগের হলেও ভিডিওটি আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশী কমিউনিটির লোকজন বলেন, মালয়েশিয়ায় ইভটিজিং, শ্লীলতাহানি সহ এধরণের অপরাধের বিরুদ্ধে দেশটিতে কঠোর আইন প্রচলিত রয়েছে। তাই এখানে এসব অপরাধ খুব কমই ঘটে। এজন্য যারা নতুন কিংবা পুরাতন কর্মী রয়েছে তাদের কে অবশ্যই নারী ও শিশুর প্রতি সম্মান দেখিয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
ঐ ব্যাক্তির অপরাধ প্রমানিত হলে এবং ভিকটিমের পক্ষ থেকে ক্ষমা না করলে কঠোর শাস্তির মূখে পড়তে পারে, দোররা সহ বিভিন্ন মেয়াদে জেল কিংবা জরিমানা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বার্তা বাজার/জে আই