গরমে সদরপুরে বেড়েছে তালের শাঁস বিক্রির হিড়িক কচি তালের নরম শাঁস এই গরমে খুবই উপাদেয় খাবার। সদরপুরে অনেকেই এ মৌসুমে তালশাঁস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
মৌসুমি ফল হিসেবে তালশাঁস ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার হসপিটাল মোড় এলাকা, সদরপুর বাজার, চৌদ্দ রশি বাজার, মনিকোঠা বাজার, কৃষ্ণপুর বাজার, আকোটচর বাজার, পিয়াজখালি বাজার, আমিরাবাদ চার রাস্তার মোড়, আটরশি স্টান্ড এলাকাসহ উপজেলার প্রায় প্রতিটি হাট-বাজার, বাসস্ট্যান্ড এবং অলিতেগলিতে বিক্রি করে অনেক দরিদ্র মানুষই জীবিকা নির্বাহ করেছেন।
বিক্রেতা মো. নালু মীর বলেন, একটা তালের মধ্যে দুই-তিনটা শাঁস থাকে। অধিকাংশ তালের মধ্যে তিনটাই শাঁস পাওয়া যায়। প্রতিটি শাঁস পাঁচ টাকা ধরে তিনটি শাঁসের একটি তাল ১৫ টাকা বিক্রি করছেন। প্রতি বছর বৈশাখ মাসে চুক্তিতে ৪০০-৫০০ টাকায় প্রতিটি গাছের তাল কেনেন। গাছ থেকে পেড়ে আনা, বহন করা, কাটাকাটিসহ সব শ্রমই নিজে করেন। বাজারে এনে এসব তাল থেকে শাঁস বিক্রি করেন।
মনিকোঠা বাজারের অন্য এক তালশাঁস বিক্রেতা জাহিদ খলিফা জানান, কয়েকদিন ধরে বাজারে প্রতিটি তালের শাঁস ১০ থেকে ১৫ টাকা করে বেচাকেনা হচ্ছে । আমাদের বিভিন্ন জায়গার তালগাছ মালিকদের কাছে থেকে প্রতিটি তাল শাঁস পাইকারি ৪ থেকে ৬ টাকা করে কিনতে হয়। সে হিসাবে প্রতি গাছের তাল ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা করে বিক্রি হয়।
তালশাঁস ক্রেতা মো. জুয়েল রানা বলেন, তীব্র গরমে একটু স্বস্তি পেতে রাস্তার পাশে বিক্রি হওয়া রসালো ফলের স্বাদ নিচ্ছেন অনেকেই।
তালের শাঁসের পুষ্টি গুণাগুণ সম্পর্কে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ওমর ফয়সাল বলেন, তালের শাঁস শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। গরমের দিনে তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ পানি শূন্যতা দূর করে। তালে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। কচি তালের শাঁস রক্তশূন্যতা দূর করে। চোখের দৃষ্টিশক্তি ও মুখের রুচি বাড়ায়।
বার্তা বাজার/জে আই