চাঁদা না দেয়ায় মেসার্স আমির ইন্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন এর প্রেজেক্ট ম্যানেজার ও তার সহযোগীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত ইসলাম সাগর এবং তার অনুসারিদের বিরুদ্ধে।

২৬ সেপ্টেম্বর রাত নয়টায় শেখ রাসেল হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে গতকাল রাতে দুমকি থানায় এবং আজ বুধবার ভাইসচ্যান্সরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন প্রজেক্ট ম্যানেজার এনামুল হক।

জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে শেখ রাসেল হলের সামনে ছাত্রলীগ সভাপতির অনুসারী গোলাম রাব্বানী সুরিদ, ইমরান হোসেন সহ ৬/৭ জন নেতা ভ্যানে রড নিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় রড কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন বলে প্রজেক্ট সুপারভাইজার সালাউদ্দিন সিকদার জিগ্যেসা করলে ছাত্রলীগ সভাপতি নিতে বলছে বলে জানান গোলাম রাব্বানী সুরিদ। পরে সালাউদ্দিন সিকদার প্রজেক্ট ম্যানেজারকে ফোন দিলে ঘটনা স্থানে উপস্থিত হন এবং রড নিতে বাধা দেন। এসময় রড নিতে বাঁধা দিলে গোলাম রাব্বানী সুরিদ এলোপাথাড়ি ভাবে পেটাতে থাকে প্রেজেক্ট ম্যানেজার, সুপারভাইজার ও তাদের লোকজনদের।এনামুল হকের সাথে থাকা একটি এ্যাড্রেয়েট ফোন নিয়ে যায় তারা। এসময় ছাত্রলীগ নেতাদের হামলায় এনামুল হক ও সালাউদ্দিন সিকদার আহত হন। বর্তমানে আলাউদ্দিন সিকদার দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

মেসার্স আমির ইন্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন এর প্রেজেক্ট ম্যানেজার এনামুল হক বলেন, ভার্সিটির শেখ রাসেল হল ও শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের কাজ চলছে তাদের। কিন্তুু প্রায় সময়ই সভাপতি আরাফাত ইসলাম সাগর ও তার লোকজন চাঁদার জন্য আসে। চাঁদা না দিলে কাজ বন্ধ করে দেয় এবং বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয়। এছাড়া গত কয়েকদিন আগে ৩ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা চাঁদা নেন এবং বলেন ১০০ কোটি টাকার কাজ চলে তোদের তোরা ১% চাঁদা দিবি আমায় না হলে কোন কাজ চলবে না ভার্সিটিতে।

এদিকে গত কয়েকদিন আগের একটি ভিডিওতে দেখা যায় চাঁদার টাকার জন্য প্রজেক্ট ম্যানেজার এনামুল হককে গালিগালাজ করছেন সভাপতি আরাফাত ইসলাম সাগর এবং যে ভিডিওতে সাগর বলেন কত টাকা দিয়েছে, পাশে থাকা ছাত্রলীগের আরেক নেতা বলেন ৩ লক্ষ ৬২ হাজার দিছে।

পবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত ইসলাম সাগর জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ৩ লক্ষ ৬২ হাজার টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওটা প্রোগ্রামের টাকা দিছে বলে স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন আর রশিদ বলেন, বিষয়টি শুনেছি এবং তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ আবদুল হান্নান বলেন, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বার্তাবাজার/এম আই