দালালের প্রলোভনে পড়ে ভাগ্য ফেরাতে এনজিওসহ স্বজনদের কাছ থেকে ঋণ করে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন বড়াইগ্রামের মালিপাড়া গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালক নজরুল ইসলাম মিঠু। কিন্তু চাকরি নামের সোনার হরিণ ধরতে না পেরে অবশেষে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার রাতে মারা যান তিনি। মিঠু উপজেলার মালিপাড়া গ্রামের মোফাজ্জ্বল হোসেন আকন্দের ছেলে।

দেশে তার স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। মিঠু স্বজনরা জানান, মিঠু দেশে ভ্যান চালিয়ে সংসার খরচ জোগাতেন। পরে প্রতিবেশী আদম তাজেল হোসেন তাকে ভালো বেতনে মালয়েশিয়া নেওয়ার প্রলোভন দেখান। তার কথা মতে ভ্যান বিক্রিসহ এনজিও ও বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে গত ছয় মাস আগে মালয়েশিয়া যান মিঠু।

কিন্তু কাজ না পাওয়ায় বাড়িতে কোনো টাকা পাঠাতে পারছিলেন না মিঠু। স্ত্রী-সন্তানদের ভরণ-পোষণ ও ঋণ পরিশোধের দুশ্চিন্তায় মিঠু মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। পরে বন্ধু এনামুলের বাসায় বেড়াতে গিয়ে শনিবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান মিঠু। বনপাড়া পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনির হোসেন বলেন, মিঠুই ছিল তার সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।

তবে, মালয়েশিয়ায় হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর চেয়ে বেশি। প্রতি মাসেই প্রবাসীদের হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, লাখ লাখ টাকা খরচ করে মালয়েশিয়ায় এসে কাজ না পাওয়া, ঋণের বোঝা, কর্মক্ষেত্র ও পারিবারিক মানসিক চাপের কারণে প্রবাসীদের হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে।

বার্তাবাজার/এম আই