সিরাজগঞ্জে ২০তম গ্রেডের অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি ও প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগে ৭ জন ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর ও কর্মচারী নিয়োগ বাছাই কমিটির সদস্য সচিব শিমুল আক্তার বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চত করেছেন।

আটক ভুয়া পরীক্ষার্থীরা হলেনঃ সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে ফিরোজ উদ্দিন তাড়াশ উপজেলার নিমগাছীর বিষমডাঙ্গা গ্রামের আবু তাহের সরকারের ছেলে লোকমান হোসেন, কামারখন্দ উপজেলার বাজার ভদ্রঘাট গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে রাশিদুল ইসলাম সুজন, শাহজাদপুর উপজেলার মুরুটিয়া গ্রামের, এলাহী প্রামানিকের ছেলে আশরাফুল ইসলাম, উল্লাপাড়া উপজেলার বাখুয়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মজিবর রহমান, কামারখন্দ উপজেলার চর-দোগাছি গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে হাবিবুল্লা বেলালী ও উল্লাপাড়া উপজেলার গোয়ালজানী পূর্বপাড়া গ্রামের হেনা মন্ডলের ছেলে এনামুল হক।

মৌখিক পরীক্ষা চলাকালীন উল্লেখিত আসামিদের কাগজপত্র যাচাই বাছাই কালে তাদের হাতের লেখার সঙ্গে লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের হাতের লেখায় গরমিল পাওয়া যায়। যার কারণে উল্লিখিত আসামীদের বিভিন্ন কৌশলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা স্বীকার করে যে, লিখিত পরীক্ষায় তারা অন্যদের দ্বারা লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র লিখিয়ে নেয়। যা আসামীগণ বোর্ডে উপস্থিত সদস্যদের সামনে লিখিত স্বীকারোক্তি প্রদান করেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভুয়া পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে (২২ সেপ্টেম্বর) সিরাজগঞ্জের ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা পর্যন্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), অফিস কক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), আহবায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট ২০ তম গ্রেডের কর্মচারী নিয়োগ বাছাই কমিটি এর উপস্থিতিতে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

বার্তা বাজার/জে আই