নওগাঁর ধামইরহাটের একজন ভূয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারীকে আটক করেছে এলাকাবাসী। উপজেলার ধামইরহাট ইউনিয়নের হরিতকীডাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের পূর্বক কোর্ট হাজতে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ধামইরহাট ইউনিয়নের রুপনারায়ণপুর (শল্পী বাজার) গ্রামের মৃত খোকার ছেলে মুকুল হোসেন (৪২) কে মাদক ব্যবসায়ী সন্দেহে শল্পী বাজার এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারী দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার শিয়ারস মামুদপুর গ্রামের কোবাত মন্ডলের ছেলে সুজন বাবু (২৪) ও তার সহযোগি দিনাজপুরে ফুলবাড়ী উপজেলার নুর মোহাম্মদ (৩০) আটক করে। এ সময় ভূয়া ডিবি পুলিশ সুজন মুকুল হোসেনকে মারপিট করে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে বলে এ এলাকার একজন মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীর নাম বললে তোকে ছেড়ে দেয়া হবে। মুকুল হোসেন নিজে বাঁচার তাগিদে এলাকার মাদকসেবী হিসেবে পরিচিত হরিতকীডাঙ্গা গ্রামে মৃত খোয়াজ হোসেনের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৫০) এর বাড়ীতে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটর সাইকেল যোগে ডিবি পুলিশ নিয়ে তাকে আটক করে। পরে সাইদুল ইসলামকে মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে উত্তর জাহানপুর এলাকার এলএসকে ইটভাটার নিকটে নিয়ে মারপিট করে নগদ তিন হাজার দুইশত টাকা ছিনিয়ে নেয় ডিবি পুলিশ। তুই গাঁজার ব্যবসা করিস এই জন্য তোকে কুড়ি হাজার টাকা দিতে হবে তাহলে তোকে ছেড়ে দেয়া হবে মর্মে তার স্ত্রীকে মুঠোফোনে টাকা আনতে বলে। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সাইদুল ইসলামের স্ত্রী হরিতকীডাঙ্গা বাজারে কয়েকজন যুবককে নিয়ে কৌশলে ঘটনাস্থলে যায় এবং ডিবি পুলিশ পরিচায়দানকারী সুজন বাবুকে আটক করে। সুজনের অপর সহযোগি নুর হোসেন পালিয়ে যায়।

এব্যাপারে ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো.বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, রাতে খবর পেয়ে রাতে ধামইরহাট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভূয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারী সুজন বাবুকে আটক করা হয়। সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। আসামিকে কোর্ট হাজতে পাঠানো হয়েছে।

বার্তাবাজার/এম আই