নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বসত ঘর থেকে মুক্তা বেগম নামে এক গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর ধেকে স্বামী সহ শশুর বাডীর সকলে পলাতক রয়েছে। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বের) সকালে উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আলাদীগ্রাম স্বামীর ঘর থেকে তাঁর লাশটি বুদ্ধার করা হয়।
মুক্তা বেগম (২২) বুড়িরচর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আলাদীগ্রামের জুয়েল উদ্দিনের স্ত্রী ও একই এলাকার মৃত মাইন উদ্দিনের মেয়ে। সে এক কন্যা সন্তানের জননী।
স্বজনেরা জানায়, ভোরে প্রতিবেশী দম্পতি পুকুরে যাওয়ার সময় জানালা দিয়ে দেখে ঘরে লাইট জ্বলা অবস্থায় কিছু একটা ঝুলছে। সামনে এগিয়ে দেখে শাড়ী পেছানো মুক্তার মরদেহ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলতেছে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
প্রতিবেশী আকরাম হোসেন সুমন জানায়, মুক্তাকে শশুর বাড়ীর লোকজন দীর্ঘদিন নির্যাতন করে আসছে। গত কয়েকমাস আগে তাঁর স্বামী জুয়েল মেরে তাঁর মাথা পাঁটিয়ে দিয়েছে। কয়েকবার সামাজিক বৈঠক করার পর কিছুদিন ভালো থাকে তার পর আবার নির্যাতন শুরু হয়। তিনি আরো জানান, যেকোন মানুষ দেখলেই বুঝবে এটা আত্মহত্যা না হত্যা। তাকে মেরে লটকানো হয়েছে।
হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, মুক্তা বেগমের লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট শেষে পরবর্তী আইনআনুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বার্তা বাজার/জে আই