মানিকগঞ্জে সাটুরিয়া উপজেলার ফুকুরহটি ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার মোসাঃ রাশেদা বেগমের বিরুদ্ধে গর্ভকালীন মাতৃত্ব ভাতা দেওয়ার কথা বলে ঘুষ ও অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৩০ আগস্ট উক্ত মহিলা মেম্বারের এলাকায় ও আইড়মারা চামারখাই গ্রামে ভাতা সুবিধা ভোগির বাড়িতে গেলে এ অনিয়ম, দুর্নীতি এবং ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি তুলে ধরেন ভুক্তভোগীরা।

আইড়মারা চামারখাই গ্রামের গরীব ও হতদরিদ্র মোঃ শরিফুল ইসলামের (স্ত্রী) গৃহবধু রাশেদা আকতার বলেন, আমার শশুড়ের নিকট থেকে মহিলা মেম্বার ৬ হাজার টাকা নিয়ে কাউকে না বলার শর্তে আমাকে ভাতার কার্ড দেয়। আমি ভাতা কার্ডের প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছি।

ভাতায় ঘুষ বাবদ টাকা নেওয়ার বিষয়ে তার শ্বশুড় হযরত আলীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, মহিলা মেম্বার মোসাঃ রাশেদা বেগম আমার বাড়িতে এসে আমার কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা নিয়ে ছেলের বউ রাশেদাকে গর্ভকালীন ভাতাটি দিয়েছে। টাকা না দিলে মেম্বার ভাতার কার্ড দিবেনা বলে সাফ জানায়। ফলে বাধ্য হয়ে মেম্বারকে টাকা দিয়ে ভাতা গ্রহণ করেছি।

তিনি আরো বলেন, ভাতা দিবে সরকার অথচ তাকে কেন ঘুষ দিতে হবে? এই মহিলা মেম্বার আরো অনেক মানুষের নিকট হতে এভাবে ঘুষ গ্রহণ করে। এই মেম্বার আমাদের এলাকা থেকে অনেকের কাছ থেকে নানা রকম অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন কিন্তু কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সুবিধাভোগী জানান, আমাদের গর্বকালীন সময় মহিলা মেম্বারের কাছে ভাতার কার্ডের জন্য গেলে মেম্বার আমাদের কার্ড করে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। তবে এ কার্ড করতে গেলে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ হয় বলে আমাদের জানায়। কিছু পেতে হলে কিছুতো দিতেই হবে।

মেম্বার রাশেদা বেগমের মুঠো ফোনে কল করলে এ বিষয়ে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।

ঘুষ নেওয়ার ব্যাপারে সাটুরিয়া উপজেলা মহিলা বিষক কর্মকর্তা জনাবা জেসমিন আকতারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাতৃত্ব ভাতা পেতে মাত্র ৪০ টাকা খরচ লাগে। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কোন নিয়ম নেই। যদি কেউ অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে থাকে প্রমাণ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

বার্তাবাজার/এম আই