কুমিল্লার দেবীদ্বারে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সংখ্যালঘুর বাড়িতে হামলা ও মারধরের ঘটনায় সেই ইউপি চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে হামলার শিকার প্রবীর কুমার সাহা বাদী হয়ে অভিযোগটি দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের বেগমাবাদ গ্রামের ধীরেন্দ্র সাহার পুত্র প্রবীর সাহার ২ শতাংশ জমি বাড়ির সাথে মিলিয়ে পাকা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল আলম নিজেই ওই বাড়িতে যেয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শ্রমিকদের বাঁধা, নির্মাণ সামগ্রী ভাংচুর, ফেলে দেয়া এবং প্রবীর সাহার উপর হামলা করেন।

ওই ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে হামলার শিকার প্রবীর কুমার সাহা বাদী হয়ে উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল আলম (৩২), উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সুজিত পোদ্দার ও আপন রায় (৫০) সহ অজ্ঞাত আরো ৩ জনকে আসামী করে ওই অভিযোগ দাখিল করেন।

হামলার শিকার প্রবীর সাহা বলেন, অন্য এলাকা থেকে আসা একটি পরিবারের বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণে আমার বাড়ির জায়গা জোরপূর্বক দখল করে নেয়ার ষড়যন্ত্রে ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল আলমের নেতৃত্বে এবং সে নিজেই আমার বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দই নয়, আমাকে বেধরক মারধর ও লাঞ্ছিত করে। ওই ঘটনার সময় ধারন করা ভিডিও প্রকাশ এবং থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও তাকে গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনা হলনা। আমি ও আমার পরিবার এখন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় আছি।

এ ব্যপারে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানার সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

তবে দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর প্রবীর সাহার লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বার্তাবাজার/এম আই