কুমিল্লার দাউদকান্দিতে অপহরণের ১২ ঘন্টার মধ্যে অপহৃত কিশোর উদ্ধার ও অপহরণের সাথে জড়িত থাকায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার বিকেলে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাজারে ঘটনাটি ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে অপহৃত কিশোর মো. রোমন মিয়াকে গৌরীপুর ফাড়ির পুলিশ উদ্ধার এবং দুই অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত অপহরণকারীরা
হলো, উপজেলার দক্ষিণ পেন্নাই গ্রামের আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে আহমেদ মিয়া(২০) ও একই উপজেলার তিনচিটা গ্রামের জুয়েল মিয়ার ছেলে মোঃ সাফিন মিয়া (২১)।
বৃহস্পতিবার বিকেলেই দাউদকান্দি মডেল থানা অপহৃত কিশোরের বড় ভাই বাদী হয়ে অপহরণ মামলা দায়েরের পর অপহরণ কারীকে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপহরণের মূলহোতা এলকায় মক্ষীরানি হিসাবেখ্যাত কয়েকটি অপহরণ মামলার আসামি নাসরিন আক্তার (৩৫) পুলিশ দেখে বোখড়া পড়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ ও ভিকটিমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ইউনুস মতো য়ার ছেলে রোমন মিয়া দুপুরের খাবার খেতে গৌরীপুর বাজারে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়। ওতপেতে থাকা অপহরণ কারী দুই জন কিশোর কে মুখে চেপে ধরে মোটরবাইক করে তুলে নেয়। তাকে নিয়ে যাওয়ার পর প্রথমে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। তারা প্রথমে দশ হাজার টাকা বিকাশে পাঠায়। এর পর এক লাখ টাকা দাবি করলে অপহৃত কিশোরের পরিবার বিষয়টি গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদকে অবহিত করে। গৌরীপুর তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ প্রযুক্তির মাধ্যমে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈশাখা সিএনজি পাম্পের পাশে আবুল খায়ের দালানের দোতালা থেকে অপহৃত কিশোর রোমান মিয়াকে উদ্ধার করে এবং হাতেনাতে দুই অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে গৌরীটপুর তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের উপ পরিদর্শক ওমর ফারুক। অপহরণের মূলহোতা এলকার মক্ষীরানি হিসাবে ক্ষেত কয়েকটি অপহরণ মামলার আসামি নাসরিন আক্তার(৩৫) পুলিশ দেখে বোখড়া পড়ে পালিয়ে যায়।
অপহৃত কিশোর রোমান মিয়ার ভাই ও মামলার বাদী আনিছ বলেন, আমার ছোট ভাই রোমন দুপুরের খাবার খেতে দোকান থেকে বের হলে পথে থেকে অপহরণ কারীরা তাকে মোটরবাইক করে তুলে নেয় নিয়ে যায়। আমার ভাইকে আটকে রেখে প্রথম ৫০ হাজার টাকা ও পরে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তাদেরকে প্রথমে দশ হাজার টাকা বিকাশে দেই। আরও বেশী টাকা দাবী করায় গৌরীপুর পুলিশ ফাঁড়িকে জানাই। তারা আমার ভাইকে উদ্ধার করেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক ওমর ফারুক বলেন, অপহরণের ১২ ঘন্টার মধ্যে অপহৃত কিশোর রোমনকে উদ্ধার করেছি। অপহরণের সাথে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করেছি। তবে অপহরণের মূলহোতা এলকার মক্ষীরানি হিসাবে ক্ষেত কয়েকটি অপহরণ মামলার আসামি নাসরিন আক্তার (৩৫) পুলিশ দেখে বোখড়া পড়ে পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপহরণ মামলা নেওয়া হয়েছে।
বার্তাবাজার/এম আই