নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার নজুমিয়া হাটে তথ্য সংগ্রহে পুলিশ গিয়েছে বলে জানাগেছে। স্থানীয় মদুনাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো. আজম ৩ সেপ্টেম্বর ওনার বাড়ির আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। তার এক সপ্তাহ আগে পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) এক উপপরিদর্শকও (এসআই) তাঁর গ্রামের বাড়িতে গিয়েছেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ড. ইউনুসের আত্মীয় মঞ্জুর আলী বলেন, ৩ সেপ্টেম্বর মদুনাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এক এএসআই এসে ড. ইউনূস সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তাঁর কয়জন সন্তান, কোথায় থাকেন, কী করেন, গ্রামের বাড়িতে কে থাকেন—এসব। পাশাপাশি ড. ইউনূস ঢাকায় কোথায় থাকেন, তিনি কোথায় পড়ালেখা করেছেন, তা–ও জানতে চেয়েছেন।

মঞ্জুর আলী আরও বলেন, তিনি ছাড়াও পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছে। একপর্যায়ে ড. ইউনূসের এক ভাইয়ের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে বিস্তারিত জানতে চান।

তথ্য সংগ্রহে বিষয়ে জানতে চাইলে এএসআই মো. আজম বলেন, ‘হাটহাজারী থানার পরিদর্শকের (ইন্টেলিজেন্স) নির্দেশে ড. ইউনূসের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেওয়া হয়েছে। তাঁর ভাইয়ের সঙ্গেও কথা বলেছি।’

যোগাযোগ করা হলে হাটহাজারী থানার পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) মো. আমির হোসেন বলেন, ‘আমরা তথ্যগুলো নিয়ে রেখেছি।’ কেন নিয়েছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জেলা বিশেষ শাখা (ডিএসবি) চাওয়ায় তথ্য নেওয়া হয়েছে। পরে শুনেছি, তাঁরা নিজেরা সেখানে গিয়েও তথ্য নিয়েছেন। আমাদের ফাঁড়ির পুলিশ যেসব তথ্য সংগ্রহ করেছে, সেসব কোথাও পাঠানো হয়নি, আমাদের কাছেই রয়েছে।’

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা (ডিএসবি) থেকে উপপরিদর্শক (এসআই) মঈনুল ইসলাম ড. ইউনূসের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে সপ্তাহখানেক আগে তথ্য নিয়েছেন।

জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গ্রামের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। লোকজন জানিয়েছেন, তিনি কিংবা তাঁর পরিবারের কেউ সেখানে থাকেন না। লোকজন ড. ইউনূস সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য দিতে পারেননি।’

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তথ্য সংগ্রহ করেছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘কেউ বলেননি। নিজ থেকে নিয়ে রেখেছি।’

বার্তা বাজার/জে আই