কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকাগামী কাতার এয়ারওয়েজের একটি জাহাজ রানওয়ে থেকে টেকঅফ করার আগ মুহুর্তে হঠাৎ থেমে যায়। প্রায় আধাঘন্টা রানওয়ের শেষ জায়গায় স্থির থাকার পর বিমানের ক্যাপ্টেন জানায় বিমানটিতে যান্ত্রিকত্রুটি আছে। ঝুঁকি নিয়ে এ অবস্থায় বিমানটি টেকঅফ করলে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই ঘোষণার পর বিমানে থাকা সাড়ে তিনশ থেকে প্রায় চারশ যাত্রীর মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দোহার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই ঘটনা ঘটে। পরে এয়ার বাস ৩০০-১০০০ জাহাজটি বাতিল করে প্রায় ৫ ঘন্টা পর সব যাত্রীকে বোয়িং ৭৭৭-২০০ বিমানে ঢাকায় পাঠায় কাতার এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে যাত্রীরা নেমে করতালি দেন।

জানা গেছে, কান্টেটিং ওই ফ্লাইটে অধিকাংশ যাত্রী ছিলেন ইউরোপ-আমেরিকান প্রবাসী। যারা সবাই ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করছিলেন।

ওই বিমানের যাত্রী বাংলাভিশনের অনুষ্ঠান বিভাগের প্রধান মো. তারেক উল্লাহ আখন্দ বলেন, জাহাজটি যখন রানওয়ে থেকে টেকঅফ করবে এমন মুহুর্তে থেমে যায় তখন, সকল যাত্রীদের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হয়। নিরাপদে বাসায় ফিরতে পারবো কিনা এমন শঙ্কায় ছিলাম আমরা সবাই। কিন্তু অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পাইলট উড্ডয়ণ না করে সেটি বাতিল করায় হয়তো আমরা সব যাত্রী বেঁচে গেছি। যদি কাতার এয়ারওয়েজ আকাশে উড়ার পর ত্রুটি ধরা পড়তো তখন হয়তো বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।

তিনি আরও বলেন, জাহাজের অধিকাংশ যাত্রী এতোটাই ভীত ছিলেন, তারা দান-সাদকা মানত করেন।

বার্তা বাজার/জে আই