“আমি মুসলমানের মেয়ে, উঠি আযানের সুরে গেয়ে বলি থাক ইসলাম থাক, এটা মুসলমানের ডাক আমি হিন্দুর সাথে মিশি,তারা আমারই তো মাসি পিসি যাবো খ্রেস্টানের বাড়ি, নেই আমার ধর্মে আড়ি”

বক্তব্যধর্মী ই বলুন বা প্রতিবাদ বা জাগরণের গান বলুন,শায়ানের গান আমাদের মধ্যে অন্যরকম স্পৃহা এনে দেয়৷ বাক্যের কোন জটিলতা নেই বরং আমাদের সমাজ ব্যবস্থার চলিত কথাগুলোকেই তিনি ছন্দের আকারে সহজবোধ্য করে তুলেন। সেটা উপরের সেই অসাম্প্রদায়িকতার গান হউক কিংবা আমিই বাংলাদেশ ই।

জন্ম ১৯৭৬ সালের ২রা সেপ্টেম্বর কানাডায়। খুব ছোটবেলাতেই বাবা- মায়ের সঙ্গে দেশে চলে আসেন। আবার উচ্চতর পড়াশোনার জন্য পাড়ি জমান সেখানে,তবে কোর্স সম্পন্ন হবার আগেই দেশে ফিরে আসেন। সায়ান প্রথম টেলিভিশনে আসেন ২০০৭ সালে বিটিভির এক অনুষ্ঠানে,পরের বছর একুশে টিভির ফোনো লাইভ অনুষ্ঠানে তার কন্ঠে গান শোনার পর সবাই চিনতে শুরু করেন। তখন ই তাকে নিয়ে লেখালেখি শুরু হয়। একই বছর ‘সায়ানের গান’ নামে এলব্যাম বের হয়।

পত্রিকার প্রচ্ছদের শুরুতে সবাই জেনে যায়,তার নাম ফারজানা ওয়াহিদ সায়না। চাচা বিখ্যাত পপ তারকা ফেরদৌস ওয়াহিদ,এবং চাচাতো ভাই তখনকার তারুণ্যের প্রতীক হাবিব ওয়াহিদ। তার বাবা,দাদা সহ সবাই সঙ্গীতজগতের সঙ্গে যুক্ত। পরে চাচাতো ভাই বোন মিলে ‘জাস্ট ওয়াহিদ’ নামেও এলব্যাম বের করে। ‘আবার তাকিয়ে দেখ’ এলব্যাম টাও আলোচিত ছিল,সর্বশেষ ছিল ‘কিছু বলো’। বন্ধুত্ব নিয়ে “এক হারিয়ে যাওয়া বন্ধু” তার গাওয়া সবচেয়ে জনপ্রিয় গান।

সায়ানের এলব্যামের ব্যাপারে কিছুটা উদাসীন ছিলেন৷ সামাজিক কাজে বেশি ব্যস্ত রেখেছেন৷ অনেকদিন ধরেই তার নতুন কোন গান নেই, যেটা তার ভক্তদের আক্ষেপ। সায়ান তার সব গান ই নিজের লিখেন ও সুর করেন। আমরা আবার তার নতুন গান শোনবো,সেই অপেক্ষায় আছে। সাম্প্রতিক কালে দেশের জনগণের হয়ে বাক স্বাধীনতার পক্ষে বক্তব্য দেন,সবাইকে মানুষ হবার আহবান জানান।

শুভ জন্মদিন…… সায়ান।

বার্তা বাজার/জে আই