রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় ছাত্রলীগের সমাবেশ শুরু হবে। ইতোমধ্যে সমাবেশ আয়োজনের প্রস্তুতি শেষ করেছে ছাত্রলীগ।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সরেজমিন দেখা গেছে, নৌকার আদলে সমাবেশের মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। সামনে অতিথিদের জন্য সারি করে বসানো হয়েছে চেয়ার। এরপর বিস্তীর্ণ খোলা ময়দানে সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের জন্য বাঁশের বেড়া দিয়ে স্থান ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে আয়োজিত এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতিত্ব করবেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
সমাবেশ প্রসঙ্গে সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ছাত্র সমাবেশ হবে। শুধু ছাত্রলীগের ৫ লাখ কর্মী অংশগ্রহণ ছাড়াও কয়েক লাখ সাধারণ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এ ছাড়া সারা দেশের পাঁচ কোটি শিক্ষার্থী তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে এই সমাবেশে যুক্ত থাকবে।
এদিকে সমাবেশে ব্যাপক শিক্ষার্থী সমাগম ঘটাতে মাইকিং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। সমাবেশ উপলক্ষে ১৮টি উপ-কমিটি এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে ১২৭টি সমন্বয় টিম গঠন করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সারাদেশ থেকে তারুণ্যের যে ঢল নামতে শুরু করেছে, তাতে এটা স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ছাত্র সমাবেশে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, দেশ, গণতন্ত্র ও সরকারের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে, এর বিরুদ্ধে এই ছাত্রসমাবেশ হবে। তারুণ্যই প্রতিবাদ করবে, লড়াই করবে।
নেতাকর্মীদের জন্য ছাত্রলীগের ১০ নির্দেশনা-
১. সর্বাবস্থায় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। শৃঙ্খলার ব্যত্যয় ঘটে এমন যেকোনো কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হচ্ছে।
২. যেকোনো বিশৃঙ্খলার সাথে জড়িত ব্যক্তি অথবা ইউনিটের প্রতি তাৎক্ষণিক, চূড়ান্ত ও স্থায়ী সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৩. সমাবেশে প্রবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
৪. সমাবেশ স্থলে কোনোভাবেই ব্যানার নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না।
৫. স্বেচ্ছাসেবকদের সরবরাহকৃত উপকরণ ব্যতীত পতাকা, ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশে প্রবেশ করা যাবে না।
৬. নির্ধারিত সময়ে গেট খুললে দ্রুততম সময়ে শৃঙ্খলার সাথে প্রবেশ করতে হবে।
৭. সমাবেশস্থলে একাধিকবার প্রবেশ ও বাহির হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
৮. শারীরিক যেকোনো সমস্যার ক্ষেত্রে মেডিকেল ক্যাম্পে যোগাযোগ করতে হবে।
৯. সমাবেশ স্থল ও এর আশেপাশের এলাকার পরিবেশ, পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতে সতর্ক থাকতে হবে।
১০. জনদুর্ভোগ পরিহার করতে হবে এবং অযথা যানজট সৃষ্টি না করার ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে।
সমাবেশের কারণে রাজধানীর যেসব সড়ক বন্ধ থাকবে-
কাঁটাবন ক্রসিং, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং, কাকরাইল চার্চ ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার, জগন্নাথ হল ক্রসিং, ভাস্কর্য ক্রসিং এবং উপাচার্য ভবন ক্রসিং।
যেসব এলাকায় গাড়ি পার্কিং করতে হবে-
মুহসীন হল মাঠ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ভিআইপি), মলচত্বর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পলাশী ক্রসিং থেকে ভাস্কর্য ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে, ফুলার রোড রাস্তার দুপাশে, দোয়েল চত্বর ক্রসিং থেকে শহিদুল্লাহ হল ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে, নবাব আব্দুল গণি রোডের দুপাশ এবং দিলকুশা-মতিঝিল এলাকার রাস্তার দুপাশে।
বার্তাবাজার/এম আই