ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের কেদেরখোলা বালুমহালের বর্তমান ইজারাদার মেসার্স জাহানারা কনস্ট্রাকশন এন্ড সাপ্লাইয়ার্সের সত্ত্বাধিকারী মো: বরকত উল্লাহ সাগর কর্তৃক সরকারি বালুমহালসহ মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে বালু উত্তোলন করায় উক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রিট জারি করেন হাইকোর্ট। ২৯আগষ্ট, গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্ট আপিল ডিভিশনের একটি বেঞ্চ জাহানারা কনস্ট্রাকশন এন্ড সাপ্লাইয়ার্স কর্তৃক বালু উত্তোলন ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেন ।

রিট পিটিশন নং- 11294 of 2023. Pc.no: 24449/23, (Date : 29.08.2023)। অপরদিকে পূর্ববর্তী ইজারাদার মেসার্স এম এইচ এন্টারপ্রাইজকে তিন মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেয়ার আদেশ দেয়া হয়।

জাহানারা কনস্ট্রাকশন এন্ড সাপ্লাইয়ার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি সরকারি কেদারখোলা পশ্চিম বালুমহালটি ১বছরের জন্য ইজারা নিয়ে অনৈতিকভাবে সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে নবীনগর ও রায়পুর উপজেলার মেঘনা নদীর সীমানায় বিভিন্ন স্থান থেকে লোড ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে। গত ৩আগষ্ট জাহানারা কনস্ট্রাকশনের একটি লোড ড্রেজার রায়পুরা চাঁনপুর এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ১০লাখ টাকা জরিমানা করেন উপজেলা প্রশাসন। ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে বিভিন্ন গ্রামের শতশত ঘরবাড়ি ও কৃষিজমি হুমকি মুখে পড়েছে। এনিয়ে বার্তা বাজারসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও টিভিতে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আসলে ৬মাস বালু উত্তোলন বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়।

জানাযায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর ১৫৮৪ স্মারক পত্রের নির্দেশনা মোতাবেক ও নবীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্দেশনায় বীরগাঁও ইউনিয়ন ভূমি অফিস ২০২২ সালের ১১ডিসেম্বর কেদারখোলা পশ্চিম বালুমহালটি ১৪২৯ বাংলা সনের ১বৈশাখ থেকে ৩০চৈত্র পর্যন্ত এক বছরের জন্য দখলনামা বুঝিয়ে দেয়া হয় ইজারা গ্রহীতা মেসার্স এম এইচ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। কিন্তু বালু উত্তোলনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক মাস আগেই বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়ায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন ইজারাদার মেসার্স এম এইচ এন্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।

রিট পিটিশন: মাননীয় হাইকোর্ট কতৃক গৃহিত ১৫-০৫-২০২৩ তারিখে আদেশ অনুসারে তাকে তার ইজারার মেয়াদ শেষ করার অনুমতি দেওয়ার জন্য ৬জুন ২০২৩ তারিখের আবেদনের নিষ্পত্তিতে উত্তরদাতা নং ৪-এর ব্যর্থতা/নিষ্ক্রিয়তা ২০২৩ সালের রিট পিটিশন নং- ২৬৩৫ এ ডিভিশন রুলটি ডিসচার্জ করে। যা জনস্বার্থের আড়ালে বর্তমান পিটিশনের ইজারাকে হতাশ করার জন্য ন্যস্ত ত্রৈমাসিকের অনুরোধে উত্তরদাতা নং-৭ দ্বারা দায়ের করা হয়েছিল।

১৩জুলাই ২০২৩ তারিখে ইজারা চুক্তি উত্তরদাতা নং-৪ দ্বারা সম্পাদিত ১৪৩০ বিএসের জন্য কেদারখোলা পশ্চিম বালুমহাল উত্তরদাতা নং-৪এর অনুকূলে ইজারা দেয়।

এছাড়া ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগ ২০২৩ সালের ২৬৩৫ নং রিট পিটিশনে উত্তরদাতা নং-৭ দ্বারা উক্ত বালুমহালটি বিলুপ্ত করার জন্য এবং চেম্বারের ১৩-০৩-২০২৩ তারিখের নিষেধাজ্ঞার আদেশের চরম লঙ্ঘনের জন্য দায়ের করেছিলেন। মাননীয় আপিল বিভাগের বিচারক ২০২৩ সালের সিভিল পিটিশন নং ৭৪৫ (২০২৩ সালের ডব্লিউপি নং ২৬৩৫ থেকে উদ্ভুত) পাশ করেছেন, পক্ষগুলোকে পূর্বোক্ত বালুমহালের ক্ষেত্রে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।

১৩-০৭-২০২৩ তারিখের ইজারা চুক্তি (সংযোজন-এইচ) এর কারণ দর্শানোর জন্য উত্তরদাতাদের আহ্বান জানিয়ে একটি বিধি নিসি জারি করা হোক।

উত্তরদাতা নং-৪ দ্বারা সম্পাদিত কেদারখোলা বালুমহাল ১৪৩০ বিএসের জন্য উত্তরদাতাদের অনুকূলে ৪নং টেন্ডার নোটিশের ভিত্তিতে আবেদনকারীর ইজারা থাকার সময় এবং মুলতুবি থাকাকালীন রিটে মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক এ বিষয়ে রুল নিস্ট ২০২৩ সালের পিটিশন নং ২৬৩৫ এবং মাননীয় আপিল বিভাগের চেম্বার জজের ১৩-০৩-২০২৩ তারিখের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশের স্হূল লঙ্ঘন ২০২৩ সালের দেওয়ানী পিটিশন নং ৭৪৫ এ পাস করা হয়েছে। (ডব্লিউপি ২০২৩ এর নং ২৬৩৫ থেকে উদ্ভুত)

উপরোক্ত বালুমহাল সম্পর্কে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য পক্ষগুলোকে নির্দেশ দেওয়া কোন আইনগত কর্তৃত্ব ছাড়া তৈরি করা হয়েছে এবং কোন আইনগত প্রভাব নেই এবং কেন উত্তরদাতাদের ব্যর্থতা এবং নিষ্ক্রিয়তা নং– হিসাবে ঘোষণা করা হবে না।

ডাব্লিউপি-তে মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক গৃহীত ১৫-০৫-২০২৩ তারিখের আদেশের অনুসারে তাকে তার ইজারার মেয়াদ শেষ করার অনুমতি দেওয়ার জন্য আবেদনকারীর ৬-৬২০২৩ তারিখের আবেদনের নিষ্পত্তি করার জন্য (সংযোজন -জি-১) ২০২৩ এর নং ২৬৩৫ বিধিটি কোনো আইনানুগ কর্তৃত্ব ছাড়া ঘোষণা করা হবে না এবং এর কোনো আইনি প্রভাব নেই এবং আরও কেন উত্তরদাতা নং ৪কে আবেদনকারীর ৬-৬-২০২৩ তারিখের আবেদন নিষ্পত্তি করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে না।

(সংযোজন -জি-১) অথবা এই ধরনের অন্য বা আরও আদেশ এই আদালতে পাস করা উপযুক্ত এবং যথাযথ বলে মনে হতে পারে।
নিয়মটি তারিখ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে ফেরতযোগ্য করা হয়। বিধি নিষ্পত্তি মুলতুবি, ইজারা চুক্তির অপারেশন তারিখ ১৩-৭-২০২৩ (সংযোজন -২) উত্তরদাতা নং-৪ লিজ আউট দ্বারা সম্পাদিত কেদারখোলা পশ্চিম বালুমহাল, বীরগাঁও, নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১৪৩০ বাংলা সালের তারিখ থেকে ৬মাসের জন্য স্থগিত করা হবে এবং উত্তরদাতা নং-৪ কে আবেদনকারীর ৬-৬-২০২৩ তারিখের প্রতিনিধিত্ব নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (সংযোজন -জি-১) তিন মাসের মধ্যে।

বার্তা বাজার/জে আই