নোয়াখালীর হাতিয়া পৌর বিএনপির সভাপতি কাজি আব্দুর রহিমকে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত থাকায় দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সাথে প্রফেসর আবু শাহাদাত মোঃ মোকাররম বিল্যাহকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত ভিন্ন ভিন্ন চিঠিতে এই অব্যাহতি পত্র ও দায়িত্ব প্রদান পত্র দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সকালে এই চিঠি হাতিয়া এসে পৌঁছলে অনেকে তা সোশাল মিডিয়ায় দিয়ে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয় দলীয় শৃংখলা পরিপন্থি কাজে লিপ্ত থাকায় কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি যে লিখিত জবাব দিয়েছেন তা সন্তোষজনক নয়। এজন্য তাকে পৌর বিএনপির সভাপতিসহ সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এর আগে গত বুধবার (১৭ আগস্ট) কাজি আবদুর রহিমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন জেলা বিএনপি। তাতে ৭ দিনের মধ্যে এই বিষয়ে লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল।
কাজী আবদুর রহিম হাতিয়া পৌরসভা বিএনপির সভাপতি। তিনি হাতিয়া রহমানিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক। মাদ্রাসার আয়োজনে গত ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করেন। পোষ্টকরা সেই ছবি গুলো তার ফেইজবুকে এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না। পোষ্ট করার দুই ঘন্টা পর তিনি তা মুচে পেলেন। তবে বিএনপি নেতা কর্মীরা স্কিনসর্ট করে সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় দিয়ে তার বিরুদ্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতনের কাছে আবেদন করেন।
হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী তানভির উদ্দিন রাজিব জানান, বিএনপির দলীয় নিয়ম নীতি আছে। এই নিয়মের বাহিরে গেলে দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে এটাই স্বাভাবিক ঘটনা। কাজী আবদুর রহিমকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিনি সন্তোশ জনক জবাব দিতে পরেন নি। তাই তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এই বিষয়ে কাজী আবদুর রহিম বলেন, আমাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বহিস্কার করা হয়নি। কেন অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি জানান, আমার চেয়েও আরো ভালো কাজ করতে পারে এমন কাউকে এই পদ দেওয়া হতে পারে।
এই বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান বলেন, কাজী আবদুর রহিমকে ৭ দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। তিনি যে লিখিত জবাব দিয়েছেন তা সন্তোষজনক না হওয়ায় তাতে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বার্তাবাজার/এম আই