বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) কর্মরত নিয়মিত শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীদের জন্য প্রথমবারের মতো ঝুঁকিভাতা চালু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বছরে কমপক্ষে দুইটি ঝুঁকিভাতা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রথম ঝুঁকিভাতা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) ঝুঁকিভাতা পেয়ে তাৎক্ষণিক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, ঝুঁকিভাতা পেয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাৎক্ষণিক উপাচার্য ও তার পরিবারের সদস্যদের সুস্থতা ও দীর্ঘজীবন কামনা করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সবার মাঝে বিরাজ করে উৎসবের আমেজ। একইসাথে ঝুঁকিভাতা প্রাপ্ত সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বেশি বেশি কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
জানা গেছে, নিয়মিত শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীদের ঝুঁকিভাতা চালু হওয়ায় দীর্ঘদিনের একটি দাবি পূরণ হলো। এর আগে বিগত কয়েকটি প্রশাসনের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ দাবি জানিয়ে এলেও তা শুধু আশ্বাসের মাধ্যমেই সীমাবদ্ধ ছিল।
ভাতাপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা বলেন, ২০২১ সালের ২৯ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এমন অনেককিছুই বাস্তবায়ন করেছেন, যা এর আগের কোনো উপাচার্য করেননি। শারফুদ্দিন আহমেদ দায়িত্ব নেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো সাধারণ জরুরি বিভাগ চালু হয়েছে, প্রায় এক হাজার কর্মচারীর চাকরি নিয়মিত করা হয়েছে। এছাড়া প্রথমবারের মতো ফরেনসিক মেডিসিন ও টক্সিকোলজি বিভাগ চালুসহ প্রথমবারের মতো হেলথ কার্ড চালু হয়েছে, ইনফার্টিলিটির চিকিৎসায় স্টেম সেলের প্রয়োগ হয়েছে।
এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের শিশুদের চিকিৎসার জন্য ডিসঅর্ডার অব সেক্স ডেভেলপমেন্ট ক্লিনিক চালু হয়েছে, প্রথমবারের মতো গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের ত্রুটির ঝুঁকি নির্ণয়ে পরীক্ষা চালু হয়েছে, শিক্ষক ও চিকিৎসকদের মাঝে গবেষণা অনুদান বৃদ্ধি করে ৪ কোটি টাকা থেকে ২২ কোটি ৪০ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে। সবশেষে নিয়মিত শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীদের ঝুঁকিভাতা চালু করাও এরকম একটি অনন্য ও অসাধারণ উদ্যোগ। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীরা চিরকাল স্মরণে রাখবেন।
বার্তাবাজার/এম আই