পটুয়াখালীর দুমকিতে জলিশা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ৩৪০ জন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে না সুপেয় পানি। যার ফলে শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তি ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। ২০১৫ সালে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডেপুটি রেজিস্ট্রার এম এ হাকিম খান তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন।

ছাত্র-ছাত্রীরা জানান, বিদ্যালয়ের মধ্যে টিউবয়েল না থাকার কারণে আমাদের অন্যের বাড়ির টিউবওয়েলের পানির ওপর নির্ভরশীল হতে হয়। এছাড়াও অনেক সময় শৌচাগারে থাকে না পানি। যার ফলে তারা চরম ভোগান্তি ও স্বাস্থ্যঝুঁকিসহ ব্যাহত হচ্ছে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম।

সুমাইয়া নামে আরেক শিক্ষার্থী জানান, আমাদের স্কুলে টিউবওয়েল নেই, ঠিকমত পানি খাইতে পারিনা। স্কুলের ম্যাডামেরা অনেক দূর থেকে পানি এনে মোগো খাওয়ায় এবং টয়লেটে যেতেও অনেক সময় অসুবিধা হয়।

জলিশা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সৈয়দ আতিকুল ইসলাম জানান, প্রায় সময়েই বাচ্চারা পানির জন্য আমাদের কাছে আসে তখন অন্যের বাড়ি গিয়ে বাচ্চাদের জন্য পানি নিয়ে আসতে হয়। যদি আমাদের বিদ্যালয়ের ভেতর একটি টিউবওয়েল থাকতো তবে আমাদের এরকম সমস্যার মধ্যে পড়তে হতো না। এছাড়া বিদ্যালয়ের সড়কটিও দ্রুত সংস্কার করা জরুরি। কারন তাহলে যারা হুইলচেয়ারে চলাচল করে বিদ্যালয়ে আসে তাদের জন্য সুবিধা হয়।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এম এ হাকিম খান বলেন, বিষয়টি তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবহিত করলেও কোনো সুরাহা হয়নি। তবে এখন এমপি মহোদয়ের কাছে আবেদন করে দেখি কি হয়।

এ বিষয়ে দুমকি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল ইমরান বলেন, বিদ্যালয় কতৃপক্ষ আমাকে এতোদিন জানায়নি তবে এখন আমি দেখি চেষ্টা করে একটি টিউবওয়েলের ব্যবস্থা করা যায় কিনা।

বার্তাবাজার/এম আই