টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার একটি সমৃদ্ধ উপজেলা হওয়ায় এর গুরুত্ব অপিরিহার্য। তাইতো যতই দিন যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসসদ নির্বাচনের আমেজ ছড়িয়ে পড়ছে নেতা কর্মীদের মাঝে। এই উপজেলায় ২০২২ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী ৪ লক্ষ ৮৩ হাজার ২০০ জন বসবাস করে। ভোটার সংখ্যা৩লক্ষ ৯০ হাজার ৭৭৮ জন ভোটার পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৩৪ জন, মহিলা ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৯১ হাজার ৭৫২জন। লোক সংখ্যার দিক থেকে টাঙ্গাইল ৩ ঘাটাইল উপজেলার একটি গুরত্বপূর্ণ স্থান। তাইতো বর্তমানে বড় দুই দলের নেতারা বিভক্তির মাঝেও দলীয় মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে মাঠে কাজ করে যাচ্ছে।

তাইতো আলাদা আলাদা ভাবে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক, বিবাহ অনুষ্ঠান,চিকিৎসার জন্য ক্যাম্পেইন, সমাজিক, সেবামূলক বিভিন্ন কর্মকান্ডে তাদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। এমনকি ঘাটাইলের উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ডে ছবি সম্মলিত বিভিন্ন সড়কে ব্যানার ফেষ্টুন, বিভিন্ন শোভা পাচ্ছে।টাঙ্গাইল ৩ ঘাটাইল আসনটি ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির সাইদুর রহমান খান এ আস থেকে নির্বাচিত হন। ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) দখলে ছিলো। দীর্ঘ ২১ বছর পর বিশিষ্ঠ চিকিৎসক ডাঃ মতিউর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত হয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হোন।

এদিকে ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগ ও উপজেলা জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দলীয় কোন্দলের কারণে যার যার যোগ্যতা জানান দিতে মনোনয়নের জন্য আলাদা আলদা কাজ করে যাচ্ছেন।

এদিক থেকে সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার পিতা, বর্তমান সংসদ সদস্য আতউর রহমান খান উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ উদ্ধোধন বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে নিজের অবস্থানকে ধরে রাখতে চাচ্ছে। তিনি জানান ঘাটাইলে মনোনয়ন নির্ভর করবে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের বড় দল যে কেউ মনোনয়ন চাইতে পারে। বিভাজনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান আমি নৌকার লোক। নৌকা যাকে দেবে আমি তাকেই ভোট দেবো।

অপর দিকে সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় দুস্থ্য মানুষের মাঝে সাহায়্য বিভিন্ন সেবামূলক কাজে উপস্থিত দেখা যাচ্ছে।

অপরদিকে ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম লেবু বিভিন্ন সভা সমাবেশ সামাজিক অনুষ্ঠান,রাজনৈতিক অনুষ্ঠান ,দোয়া মাহফিল উন্নযনমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে মনোনয়ন প্রাপ্তির আশায়। তিনি জানান মনোনয়ন বিষয়ে তিনি তৃনমুল নেতা কর্মী আমাকে সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চায়। কারণ হলো একটাই আমাদের যে সংসদ সদস্য তিনি বয়স্ক লোক তিনি যে ভাবে দলের সাথে কাজ করার কথা দলের নেতা কর্মীদের মুল্যায়ন করার কথা সেভাবে মুল্যায়ন করেনি। উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের সাথে সে সম্পৃক্ত নয়। যার জন্য মাঠ থেকে একটি শব্দ উঠে এসেছে তৃনমুল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের সাথে যার সম্পর্ক তাকে আমরা সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চাই। দলে বিভাজনের বিষয়ে তিনি জানান মনোনয়ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দল এবং মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আমরা সবাই একমত থাকবো।

মনোনয়নের প্রাপ্তির জন্য মাঠ চষে বেড়াচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইসচেন্সেলর পেশাজীবি সমন্বয় পরিষদের মহা সচিব,বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য ডাঃ কামরুল হাসান খান। মনোনয়নের বিষয়ে জানান আমি যখন চাইবো তখন আমারটাই চাইবো সে লক্ষ নিয়েই অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। দল যদি কাউকে নৌকা প্রতিক দেয় তবে আমি তার হয়ে কাজ করবো ।ঘাটাইল যত বড় কিছু উন্নয়ন হয়েছে সব আমার হাতে হয়েছে।আমি যদি আসতে পারি তাহলে যে কোন উপজেলার চেয়ে উন্নয়ন কম হবে না।

নৌকার মনোনয়ন জন্য চেষ্টা করছেন কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগ,বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সমৃদ্ধ নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক, বাংলাদেশ জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক, সমৃদ্ধ ঘাটাইল ঢাকা কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক, ঢাকা তেজগাঁও কলেজের অধ্যাপক প্রফেসর ড. অধীর চন্দ্র সরকার জানান তিনি আগামী সংসদ নির্বাচনে নিশ্চিত মনোনয়ন আমি পাচ্ছি। মনোনয়ন পেয়ে যদি নির্বাচিত হই তাহলে উপজেলায় প্রথমে অবশ্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমুল পরিবর্তন আনবো।

সাবেক সংসদ সদস্য ডাঃ মতিউর রহমানের ছেলে উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র কনসালটেন্ট তানভীর রহমান তিনি দির্ঘদিন যাবৎ মনোনয়নের জন্য মাঠে কাজ করে যাচ্ছে।

অপরদিকে ঘাটাইলে প্রথম উন্নয়নমূলক কাজের অবদানের জন্য জনগণের কাছে পরিচিতি রয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, সাবেক প্রতিন্ত্রী লুৎফর রহমান খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমি নির্বাচন আসার আগে কোন কিছু মন্তব্য করতে চাই না। নির্বাচন ঘোষণা হলে তখন কিছু বলবো।

অপরদিকে তরুণ প্রজন্মের বিশেষ আগ্রহ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট ওবায়দুল হক নাসির দলে বিভাজনের কথা জানতে চাই তিনি জানান, বিএনপিতে বিভাজন বলতে কিছু নেই প্রত্যকটা দল তার নিয়ম অনুযায়ী চলে। বিচ্ছিন্ন কেউ যদি করে তারা দলের সিদ্ধান্ত মানে না কিছু মানুষ দলে বাইরে আছে তারা যখন বুঝতে পারবে তখন সবাই দলের পতাকা তলে আসবে। যদি দল নির্বাচনে যায় নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে আমি মনোনয় পাবো আশা করছি।সেভাবেই তৃনমুল নেতাকর্মীদের সংগঠিত করছি।

অপরদিকে টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক কমিটির সদস্য উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম রনি জানান, দল থেকে আমি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক জনগণ যদি আমাকে রায় দেয় তাহলে আমি নির্বাচন করবো।

বার্তাবাজার/এম আই