২৪ আগস্ট। আওয়ামীলীগের রাজপথ কাঁপানো সংগ্রামী নারী নেত্রী বেগম আইভি রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৪ সালের ২১আগস্ট আওয়ামী লীগের এক জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন এবং ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৩দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে ২৪ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। ভৈরবের কৃতী সন্তান এই নারী নেত্রী আইভি রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালনের জন্য ভৈরবে নেয়া হয়েছে নানা কর্মসূচী।
আজ বৃহষ্পতিবার উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও আইভি ভবনে মিলাদ মাহফিল ও কোরআন খতমের আয়োজন করা হয়। এছাড়া সকালে উপজেলার ও পৌর আওয়ামী লীগ কাল পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণ, শহীদ বেগম আইভি রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, বিকাল ৪টায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের গুলশানের বাসা আইভি টাওয়ারে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
২০০৪ সালের ২৪ আগস্ট, দীর্ঘ ৫৭ ঘন্টা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জালড়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মহিলা আওয়ামীলীগের প্রিয়মুখ আইভি রহমান। তাঁর স্বামী মো: জিল্লুর রহমানের শারীরিক ক্ষতি হতে পারে এমন আশঙ্কায় ২১আগস্ট গ্রেনেড হামলায় স্ত্রী আইভি রহমানের মারাত্মক আহত হওয়ার খবরটি জিল্লুর রহমানকে জানায়নি পরিবারের সদস্যরা। তিনি শুধু জানতেন বেগম আইভি রহমান সামান্য আঘাত পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার দুইদিনের মাথায় তিনি জানতে পারেন নির্মম সত্য কথাটি। দু’দিন পর ২৩আগস্ট প্রথম ও শেষ বারের মত তার জীবন সঙ্গীনি আইভি রহমানকে সিএমএইচ হাসপাতালে দেখতে যান জিল্লুর রহমান। ৪৬ বছরের জীবন সঙ্গীনির সঙ্গে এটাই ছিল জিল্লুর রহমানের শেষ দেখা।
অধিকার আদায়ে আজন্ম চির সংগ্রামী এই নারী নেত্রী আইভি রহমান আজ বেঁচে নেই। তার শূণ্যতায় সারাদেশের মত ভৈরবের মানুষ আজও কাঁদে। ভৈরববাসী তাকে আইভি আপা বা আইভি ভাবী বলে ডাকত। মানুষের দুঃখ, সুখে তিনি ছিলেন সব সময় পাশে। তিনি পৃথিবীতে না থাকার বেঁদনা ও হাহাকার তার পরিবারসহ কারও সইবার নয়। মৃত্যুর ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও তার হত্যার এখনও বিচার হয়নি। ভৈরববাসী হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক বিচার দাবী করছে।
বার্তা বাজার/জে আই