কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বিশেষায়িত ট্রমা হাসপাতাল সেন্টার নির্মাণ কাজের ৩ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি তিন তলা বিশিষ্ট আধুনিক নতুন ভবন। ভবন হস্তান্তরের ৩ বছরেও চালু হয়নি ২০ শয্যা বিশিষ্ট ভৈরব ট্রমা হাসপাতালটি। ফলে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত ভৈরব উপজেলাসহ ৪ জেলাবাসী।

জানাযায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে ভৈরব শহরের কমলপুর এলাকার ১৯৬৬ সালে ৫ একর ৬৬ শতাংশ জায়গার একর করা হয়। আহত যাত্রীদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যে সরকার সারাদেশে মহাসড়কের পাশে নির্মাণ করা হয়েছে ট্রমা সেন্টার। এরই ধারাবাহিকতায় ভৈরব শহরের কমলপুর এলাকার ২০১৮ সালে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন সাবেক স্বাস্ধসঢ়;হ্য ও পরিকল্পনা মন্ত্রী মোঃ নাসিম ও ভৈরব- কুলিয়াচরের সংসদ সদস্য ও বিসিবির সভাপতি আলহাজ্ব নাজমুল হাসান পাপন। পরে ২০২০ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০ শয্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত ট্রমা হাসপাতাল স্থাপিত হয় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ।

ভবন নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করেন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। হাসপাতালটিতে ভবন নির্মাণ করা হলেও প্রশাসনিক অনুমোদন ও জনবল নিয়োগ করা হয়নি। ফলে প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত ভৈরব ,কিশোরগঞ্জ , হবিগঞ্জ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী জেলা। ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পযর্ন্ত জনবল পাওয়া যায়নি। ফলে মহাসড়কে আহতরা এখনো নিরীহ ভাবেই জীবন দিচ্ছে দুর্ঘটনা পরবর্তী পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবার অভাবে। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ঘটছে ছোট-বড় আকারের সড়ক দুর্ঘটনা। ঘটণাস্থলেই প্রাণ হারাচ্ছে অনেক যাত্রী। কেউ বরণ করে নিচ্ছেন চিরস্থায়ী পঙ্ধসঢ়;গুত্ব। আর পরবর্তী চিকিৎসা সেবার অপ্রতুলতার জন্য আহতদের অনেকেই প্রাণ হারাচ্ছেন। সরকারের মহৎ উদ্দেশ্যে ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি মারাত্মকভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন আহতরা উপযুক্ত চিকিৎসা সেবা থেকে । গুরুতর রোগীদের পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেলে কলেজে। ফলে মাঝপথেই অনেক রোগীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ স্বজনদের। হাসপাতালটি চালু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ রোগী ও স্বজনরা এই হাসপাতালটি চালু হলে ভৈরব ,কিশোরগঞ্জ , হবিগঞ্জ . বা²ণবাড়িয়া. নরসিংদী জেলার সড়ক

দুর্ঘটনা আহত রোগীরা উপকৃত হবে। জনস্বার্থে দ্রুত পুরোদমে সেবা কার্যক্রম চালুর দাবি করেন ভুক্তভুগিরা। এদিকে বর্হিবিভাগে সিমিত আকারে দুইজন অর্থপেডিক চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম।

ভৈরব মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সভাপতি আজিজুল সরদার সহ আরো স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ট্রমা সেন্টার নিজেই পঙ্ধসঢ়;গু,সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটণাস্থলেই প্রাণ হারাচ্ছে অনেক যাত্রী ও ড্রাইভাররা, আবার অনেক সময় কোনো রকম চিকিৎসা দিয়েই ঢাকা পাঠানো হয়। তখন মাঝপথে অনেক রোগীর মৃত্যু হয়। এই হাসপাতালটি চালু হলে ভৈরবসহ আশেপাশের উপজেলার সড়ক দুর্ঘটনা আহত রোগীরা উপকৃত হবে। জনস্বার্থে ট্রমা সেন্টারটি চালু করা দরকার।

ভৈরব হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোজাম্মেল হক পিপি জানান, । প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ঘটছে ছোট-বড় আকারের সড়ক দুর্ঘটনা। ঢাকা পাঠাতে গিয়ে মাঝপথেই অনেক রোগীর মৃত্যু হয় ট্রমা হাসপাতালের জনবল নিয়োগ দিয়ে সেন্টারটি দ্রুত চালুর দাবি জানান সংশ্লিষ্টদের প্রতি ।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, বর্হিবিভাগে সিমিত আকারে দুইজন অর্থপেডিক চিকিৎসক দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছি। মন্ত্রণালয় চিঠি দেয়া হয়েছে। খুব দ্রুত পূর্ণাঙ্গভাবে ট্রমা হাসপাতালের জনবল সংগ্রহ করে হাসপাতালটি শিগগিরই চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।

ভৈরব-কুলিয়াচরের সংসদ সদস্য ও বিসিবির সভাপতি আলহাজ্ব নাজমুল হাসান পাপন বলেন সারা বাংলাদেশে চারটি হাসপাতাল চালু হলে ভৈরবে একটি চালু হবে।

বার্তা বাজার/জে আই