জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ২৫ বছর পর শহিদুল ইসলাম নামে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই অনাদায়ে আরও ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।

বুধবার (৯ আগস্ট) দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন। এছাড়া মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চারজনকে খালাস দেয় আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত শহিদুল ইসলাম আক্কেলপুর উপজেলার পাঠানধারা গ্রামের মৃত আফেজ উদ্দীনের ছেলে।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট দায়রা ও জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর উদয় সিংহ।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, আক্কেলপুরের পাঠানধারা গ্রামের মমতাজুর রহমান সাত বছর মালয়েশিয়ায় শ্রমিকের কাজ করার পর ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর দেশে আসেন। ওই বছরের ২৫ ডিসেম্বর রাতে খাওয়া দাওয়া করে তিনি নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাতে কয়েকজন চোর সিঁধ কেটে তার বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় তিনি বিষয়টি টের পেলে চোরদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় চোরেরা। পরে

মমতাজুরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে ২৬ ডিসেম্বর তিনি মারা যান

এ ঘটনায় ২৭ ডিসেম্বর নিহতের ছেলে রশিদুল ইসলাম আক্কেলপুর থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। মামলার পর ১৯৯৯ সালের ১৬ জুন আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে শহিদুল ইসলামের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া মামলার অন্য চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়। খালাস পাওয়া চারজনের মধ্যে একজন মারা গেছেন।

বার্তা বাজার/জে আই