দেশের জনগণ জেগে উঠেছে, তারা এই অবৈধ সরকারের পতন চায় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু। তিনি বলেন, জনতার একটাই আকাঙক্ষা অবৈধ সরকারের পতন। কেউ অন্য কিছু দেখতে চায় না।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে কেন্দ্রীয় যুবদল আয়োজিত, ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

যুবদল সভাপতি বলেন, জাতীয়তাবাদী যুবদল দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে যেকোনো আন্দোলনে সর্বশক্তি নিয়োগ করে আন্দোলনকে সফল করবে। জাতীয়তাবাদী যুবদল লড়তে জানে, জাতীয়তাবাদী যুবদল গড়তে জানে, আমরাই লড়ব, আমরাই গড়ব ইনশাআল্লাহ।

টুকু বলেন, দেশের মানুষ এই মুহুর্তে একটি জিনিস চায়, সেটা হচ্ছে এই ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতন। বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, আজকে মানুষ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে না। কথা বলতে পারে না। বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হচ্ছে। অনেককে গুম ও খুন করা হয়েছে। বিনা বিচারে মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে । সেজন্য আমাদের গণতন্ত্রের সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। দেশের মানুষের জন্য গণতন্ত্রের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করার আহ্বান জা‌নিয়ে তি‌নি বলেন, এই সরকারকে বিদায় দেওয়ার জন্য আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। আসুন এ স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে দেশের জনগণকে মুক্ত করি।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ-সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, সিনিয়র সহ সভাপতি মামুন হাসান, সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, যুবদলের সহ-সভাপতি মাহবুব হাসান পিংকু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম চৌধুরী, সাইদুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহ নাসিরুদ্দীন রুমন, মিয়া মোহাম্মাদ রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন মামুন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক প্রমুখ।